বর্তমান স্মার্টফোন জগতে মাইক্রোম্যাক্স একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড বলা চলে। ভারতীয় ব্র্যান্ড হলেও এটি এরই মধ্যে নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে মুল ধারার ব্রান্ডগুলোর সাথে বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। ক্যানভাস সিরিজের স্মার্টফোনগুলো দিয়েই মূলত এদের জনপ্রিয়তার শুরু। ক্যানভাস ২ এদের অন্যতম ব্যবসাসফল ডিভাইস এবং এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে এরা বাজারে নিয়ে আসে আরও আকর্ষণীয় ফিচার সমৃদ্ধ ক্যানভাস এইচডি। ক্যানভাস এইচডি এর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অনেকটা চুপিসারে মাইক্রোম্যাক্স নিয়ে এলো ক্যানভাস সিরিজের নতুন আকর্ষণ ‘ক্যানভাস ডুডল’।
অফিসিয়াল কোন ঘোষণা যদিও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, সম্প্রতি মাইক্রোম্যাক্সের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং অনলাইন স্টোরে নতুন এ ফ্যাবলেটটির দেখা মিলেছে। অনলাইন স্টোর অনুযায়ী এর দাম ১২,৯৯৯ ইন্ডিয়ান রুপি। ডিভাইসটির মূল আকর্ষণ হলো এর সাথে থাকা সুদৃশ্য স্টাইলাস স্কেচ পেন যেটি দিয়ে ডিভাইসে থাকা এভারনোট অ্যাপ ব্যবহার করে স্কেচ এঁকে নেয়া যাবে নিমেষেই। শুধু তাই নয়, এর দারুণ ডিজাইন এবং ৫.৩ ইঞ্চির বিশাল পর্দা এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ জেলি বিন-চালিত ফ্যাবলেটটির শক্তি যোগাতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়াড কোর প্রসেসর ও ৫১২ মেগাবাইট র্যাম। অন্যান্য সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে ডুয়াল সিম সাপোর্ট, ৩জি কানেক্টিভিটি, ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা এবং ০.৩ মেগা পিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা। নিচে এক নজরে Micromax Canvas Doodle কনফিগারেশন দেয়া হল-
- অ্যান্ড্রয়েড ৪.১.২ জেলি বিন
- ডুয়াল সিম (২জি+৩জি), ২জি (জিএসএম ৯০০,১৮০০ মেগাহার্জ), ৩জি (ডব্লিউসিডিএমএ ২১০০ মেগাহার্জ)
- ৫.৩ ইঞ্চি ক্যাপাসিটিটিভ মাল্টি টাচ স্ক্রিন
- ১.২ গিগাহার্জ কোয়াড কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এস ৪ MSM8225Q সিপিইউ
- ৫১২ মেগাবাইট র্যাম
- ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ, ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড সাপোর্ট
- ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা, অটো ফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশ, ০.৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
- ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ইউএসবি, এইচডিএমআই, এফএম রেডিও, ৩.৫ এমএম অডিও জ্যাক, জিপিএস
- সেন্সরস- গ্র্যাভিটি, লাইট, প্রক্সিমিটি
- ২১০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৬.৫ ঘণ্টা পর্যন্ত টক টাইম এবং ২২০ ঘণ্টা স্ট্যান্ডবাই টাইম
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, মাইক্রোম্যাক্স প্রথমবারের মতো এ ডিভাইসে মিডিয়াটেক চিপসেটের পরিবর্তে কোয়ালকম চিপসেট ব্যবহার করেছে। শুধু তাই নয়, এতে বিল্ট ইন এইচডিএমআই সুবিধাও রাখা হয়েছে যেটি ব্যবহারকারীদের খুব সহজে তাদের ডিভাইস কে এইচডিএমআই সুবিধা সম্পন্ন ডিভাইসের সাথে কানেক্ট করতে সাহায্য করবে এবং ব্যবহারকারীরা আরও বড় পর্দায় গেমিং কিংবা ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন।
তবে ৫১২ মেগাবাইট র্যাম এরকম কনফিগারেশনের ডিভাইসের তুলনায় সত্যিই কম। ১ গিগাবাইট র্যা ম ডিভাইসটিকে আরও অনেক আকর্ষণীয় করতে পারত। স্টাইলাস সুবিধা, ৫.৩ ইঞ্চির আকর্ষণীয় বিশাল পর্দা থাকা সত্ত্বেও বাজারে বিদ্যমান অন্যান্য সমমানের কোয়াড কোর ফোনগুলোর সাথে শুধু মাত্র র্যারম কম থাকার কারণে ডুডল কে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে।
যেহেতু এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল কোন ঘোষণা মাইক্রোম্যাক্স দেয় নি সেহেতু ধারনা করা যায় অচিরেই অফিসিয়াল ঘোষণা নিয়ে মাইক্রোম্যাক্স আমাদের সামনে হাজির হবে। তবে বাংলাদেশের বাজারে ডিভাইসটি আসতে বেশ সময় লাগবে বলে আমাদের ধারনা।
৫.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে প্যানেল সাথে আকর্ষণীয় স্টাইলাস স্কেচ পেন, এইচডিএম আই ফিচার সমৃদ্ধ ফ্যাব্লেট ফোনটি নিয়ে আপনাদের মতামত কি? মন্তব্যের ঘরে লিখে পাঠান। আরও নতুন নতুন খবর জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
0 comments:
Post a Comment