Wednesday, July 17, 2013

ফার্স্ট লুকঃ Walton Primo NX

Walton Primo সিরিজের ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে দেশের বাজারে বর্তমানে বেশ ভাল প্রভাব বিস্তার করছে ওয়াল্টন। তাছাড়া দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রথম ফ্যাবলেট এনেও এরই মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে তারা। তাদের প্রথম ফ্যাবলেট Walton Primo N1 এর ব্যাপক সাফল্যের পর এবার দেশের বাজারে তারা আরও একটি ফ্যাবলেট নিয়ে আসছে। ওয়াল্টন তাদের এই নতুন ফ্যাবলেটটির নাম দিয়েছে Walton Primo NX। দেশের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মতে ডিভাইসটি Walton Primo N1 এর জনপ্রিয়তাকেও ছাড়িয়ে যাবে।


বর্তামানে বসুন্ধরা সিটির ওয়াল্টন প্লাজাতে Walton Primo NX এর জন্য প্রি-অর্ডার নেয়ার পাশাপাশি পরখ করে দেখারও সুযোগ দিচ্ছে ওয়াল্টন। তবে হ্যান্ডস-অন রিভিউ দেয়ার মত সময় ও সুযোগ না দেয়ায় বসুন্ধরা সিটি থেকে ঘুরে এসে এখন কেবল ফার্স্ট লুকটাই দেয়া সম্ভব হচ্ছে। চলুন এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক কী আছে এই ডিভাইসে।

Walton Primo NX


সিপিইউ ও জিপিইউ

Walton Primo NX ডিভাইসটিতে এবার থাকছে থাকছে কর্টেক্স এ৭ ভিত্তিক মিডিয়াটেক এর ২৮ ন্যানোমিটার এমটিকে ৬৫৮৯ (MTK 6589) কোয়াড কোর প্রসেসর। আর বরাবরের মত থাকছে সেই পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৪৪ (PowerVR SGX544) জিপিইউ । সিপিইউ ও জিপিইউ এর দিক দিয়ে তেমন পরিবর্তন না আনলেও কেন এটি N1 কে ছাড়িয়ে যাবে সে ব্যাপারে সামনেই বিস্তারিত থাকছে।

র‍্যাম ও স্টোরেজ

Walton Primo N1 এর মত Walton Primo NX এও ওয়াল্টন দিয়েছে ১ গিগাবাইট র‍্যাম যার মাঝে ৯৭০ মেগাবাইট ব্যবহারযোগ্য। আর সাথে থাকছে ৪ গিগাবাইটের ইন্টারনাল স্টোরেজ। এছাড়া এক্সটার্নাল এসডি কার্ড স্লটের মাধ্যমে আপনি ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত আপগ্রেড করতে পারবেন।

কিন্তু ৪ গিগাবাইট ইন্টার্নাল স্টোরেজের মাঝে কেবল ১ গিগাবাইটই আপনি অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। বাকি ৩ গিগাবাইট মূল এসডি কার্ড হিসেবে থাকবে। তবে আপনি যদি কোন এক্সটার্নাল এসডি কার্ড লাগিয়ে ব্যবহার করেন তবে আপনার এক্সটার্নাল এসডি কার্ডটিই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল এসডি কার্ডে পরিবর্তিত হয়ে যাবে।

ডিসপ্লে

Walton Primo N1 এর মত Walton Primo NX এও থাকছে ৫.৩ ইঞ্চি প্রসস্ত গোরিলা গ্লাস সমৃদ্ধ আইপিএস ডিসপ্লে। তবে ডিসপ্লের দিক দিয়ে যা Walton Primo N1 -এর থেকে Walton Primo NX কে আলাদা করেছে তা হলো এর পিওর ব্ল্যাক লেভেল আইপিএস ডিসপ্লে যা ডিভাইসটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

এছাড়া ডিসপ্লের চারপাশে ৩.৯ মিলিমিটারের একটি ফ্রেমও রয়েছে। আর Walton Primo NX -এ এবার থাকছে ১২৮০x৭২০ রেজুলেশনের এইচডি ডিসপ্লে।

ক্যামেরা

ক্যামেরার দিক থেকেও Walton Primo NX -কে  N1 এর থেকে এগিয়ে রাখতে হবে কারণ এতে দেয়া হয়েছে CMOS সেন্সর বিশিষ্ট ফ্ল্যাশসহ ১৩ মেগাপিক্সেলের ব্লু গ্লাসের রিয়ার ক্যামেরা। ওয়াল্টন এর দাবি, ব্লু গ্লাসের এই ক্যামেরা সমান মেগাপিক্সেলের অন্যান্য ক্যামেরার চেয়ে স্পষ্ট ছবি ধারণ করতে সক্ষম। রিয়ার ক্যামেরা ছাড়াও এতে ৩ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরাও রয়েছে। এছাড়া উভয় ক্যামেরা দিয়ে ১০৮০ পিক্সেলের ভিডিও-ও ধারণ করা সম্ভব। তবে এর ক্যামেরার মূল আকর্ষণ হলো এতে জায়রোস্কোপ সেন্সর থাকায় আপনি চাইলে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ এর ফটোস্ফিয়ার ক্যামেরাও ব্যবহার করতে পারবেন।

ইউজার ইন্টারফেজ

অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.১ জেলি বিন চালিত Walton Primo NX এর ইউজার ইন্টারফেসে আগের ডিভাইসগুলোর চেয়ে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয়নি। বলতে গেলে ডিভাইসটিতে তারা সরাসরি জেলি বিন এর স্টক ইন্টারফেসই ব্যবহার করেছে। তবে ওয়াল্টন ডিভাইসটির সাথে যে লঞ্চারটি ইন্সটল করে দিয়েছে তা আমাদের কাছে কিছুটা ল্যাগি বলে মনে হয়েছে। তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনি কেনার পরই ডিভাইসটিতে নতুন একটি লঞ্চার ইন্সটল করে নেবেন।

সেন্সর ও মূল আকর্ষণ

এবার ডিভাইসটির মূল আকর্ষণে আসা যাক। Walton Primo N1 সফল হলেও অনেকেই ডিভাইসটি ব্যবহার করে পুরোপুরি খুশি হতে পারেনি এর সেন্সরের অভাবে। মূলত জায়রোস্কোপ সেন্সর না থাকাই এর প্রধান ছিল কারণ যার ফলে ডিভাইসটিতে ফটোস্ফিয়ার ক্যামেরা ব্যবহার করা যায়নি।

তবে সেই অভাবটি ওয়াল্টন এবার পূরণ করেছে তাদের নতুন ফ্যাবলেট Walton Primo NX -এর মাধ্যমে। কারণ এবার এই ডিভাইসটিতে তারা প্রায় সবরকম সেন্সরই যুক্ত করেছে। সেন্সরগুলোর মাঝে জায়রোস্কোপ সেন্সর, ৩ডি অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর, গ্রাভিটি সেন্সর, লিনিয়ার অ্যাক্সেলেরেশন সেন্সর, অরিয়েন্টেশন সেন্সর, কারেক্টেড জায়রোস্কোপ সেন্সর, রোটেশন ভেক্টর, ব্রাইটনেস সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, ম্যাগনেটিক ফিল্ড সেন্সর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এতে জিপিএস সহায়তাকারী একটি বিশেষ সেন্সরও রয়েছে।

ডিভাইসটির আরেকটি আকর্ষণ হলো এতে OTG সাপোর্টও রয়েছে। দেশীয় ব্র্যান্ডের সম্ভবত এটাই প্রথম স্মার্টফোন বা ফ্যাবলেট যেটিতে OTG সাপোর্ট থাকবে। অর্থাৎ এই ফ্যাবলেটটিতে চাইলে আপনি পেনড্রাইভ, কীবোর্ড, মাউস ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন। এর বাইরে এতে MHL (Mobile High-Definition Link) পোর্টও থাকছে যার সাহায্যে HDMI পোর্টে যুক্ত করে আপনি টিভি কিংবা মনিটরেও আপনার ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ব্যাকআপ

Walton Primo N1 এর মত Walton Primo NX এও দেয়া হয়েছে ৩০০০ mAh এর ব্যাটারি। তবে হ্যান্ডস-অন রিভিউ করার সুযোগ না থাকায় এতে ঠিক কতক্ষণ ব্যাকআপ পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে এখনি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা।

অন্যান্য

এসবকিছুর বাইরে ডিভাইসটিতে ডুয়াল সিম সাপোর্ট, থ্রিজি, জিপিএস, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও, মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট, ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়া OTG সাপোর্ট ও MHL পোর্ট তো আছেই।

শেষকথা

ডিভাইসটি কিনবেন কি কিনবেন না, কিংবা প্রি অর্ডার করবেন কিনা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে যে ব্যাপারটি সবার আগে জানা প্রয়োজন তা হচ্ছে ডিভাইসটির দাম। ওয়াল্টনের পক্ষ থেকে এর দাম সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও তারা আনুমানিকভাবে জানিয়েছেন এর দাম ১৮,০০০ টাকার কাছাকাছি হবে।
ওয়াল্টন আশা করছে ডিভাইসটি তারা জুলাই এর শেষেই দেশের বাজারে ছাড়তে পারবে। তবে এখন যারা প্রি-অর্ডার করবেন তাদের মাঝে স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে কিছু ভাগ্যবান বিজয়ীদের মোট দামের উপর ৬০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেবে ওয়াল্টন।

Monday, July 8, 2013

সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের দু দুটি ফোন আনছে Symphony

একের পর এক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এনে দেশের বাজারে এরই মাঝে বেশ ভাল একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড Walton। এবার তাদের সাথে পাল্লা দিতে Symphony ও ক্রমাগত নতুন সব ডিভাইস নিয়ে হাজির হচ্ছে। এরই মাঝে Walton এর ফ্যাবলেট Primo N1 এর বিপরীতে তারা বাজারে এনেছে Symphony W150।

তবে এতদিন সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে সম্বলিত Walton Primo X1 এর বিকল্প কোন ডিভাইস না থাকলেও সবার অপেক্ষার পালা হয়তো শেষ হতে যাচ্ছে। কারন এবার Symphony ও নিয়ে আসছে ফুল এইচডি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও গোরিলা গ্লাস সম্বলিত Symphony Xplorer ZI ও Xplorer ZII নামের দু দুটি ডিভাইস।

Symphony Xplorer ZI

Symphony Xplorer ZI ও Xplorer ZII ডিভাইস দুটিতে যথাক্রমে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ ও অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.১ জেলি বিন। এছাড়া দুটি ডিভাইসেই দেয়া হচ্ছে ১.২ গিগাহার্জের কর্টেক্স এ৭ কোয়াড কোর প্রসেসর, পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৪৪ জিপিইউ, ১ গিগাবাইট র‍্যাম ও ১৬ গিগাবাইট রম।

আর Xplorer ZII তে থাকছে গোরিলা গ্লাস সমৃদ্ধ ৪.৮ ইঞ্চি প্রসস্ত সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং Xplorer ZI – এ থাকছে ৪.৮ ইঞ্চি প্রসস্ত শুধু সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে। অর্থাৎ Xplorer ZII তে গোরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হলেও Xplorer ZI – এ সেটি ব্যবহার করা হয়নি। তাই Xplorer ZI এর দাম তুলনামূলক কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দুটি ডিভাইসের রেজুলেশনই হবে ১২৮০x৭২০।

Symphony Xplorer ZII

এছাড়া Xplorer ZI ও Xplorer ZII – তে দেয়া হবে যথাক্রমে ৮ ও ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা আর 720p ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সেকেন্ডারি ফ্রন্ট ক্যামেরা। তবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিনের Photo Sphere Camera ব্যবহার করার জন্য ডিভাইস দুটিতে জায়রোস্কোপ সেন্সর আছে কিনা সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আর ব্যাকআপ হিসেবে Xplorer ZI ও Xplorer ZII তে যথাক্রমে 2000mAh ও 2200mAh ব্যাটারি থাকছে। তাছাড়া থ্রিজি, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, জিপিএস, প্রক্সিমিটি সেন্সর, অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর, এফএম রেডিও, ফুল এইচডি ভিডিও ও গেম সাপোর্টসহ সাধারণ ফিচারগুলো তো থাকছেই আর সাথে থাকছে MUSE নামের একটি আলাদা ইউজার ইন্টারফেস।

তবে ডিভাইস দুটির দাম কেমন হতে পারে সে ব্যাপারে Symphony থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আপনার কী মনে হয় Symphony এই ডিভাইস দুটির মাধ্যমে দেশের অ্যান্ড্রয়েড বাজারে ভাল একটা অবস্থান তৈরি করে নিতে পারবে ? ডিভাইস দুটি সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও দাম সম্পর্কে আপনাদের ধারণা আমাদের অবশ্যই জানাবেন।

Tuesday, June 25, 2013

ফাঁস হল বহুল প্রতীক্ষিত মটোরোলা এক্স স্মার্টফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন

গুগল মটোরোলার সাথে কাজ করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই যে ফোনটি নিয়ে সবার অদম্য আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে সেটি হল ‘মটোরোলা এক্স’ ফোন। বিশেষ করে গত মে মাসে অনুষ্ঠিত ডি ১১ সম্মেলনে মটোরোলার সিইও ডেনিস উডসাইড এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই ফোনটি স্মার্টফোন প্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তবে এই ফোনটিতে ব্যবহারকারীদের জন্য ঠিক কী ধরনের সুবিধা থাকছে এ প্রসঙ্গে মটোরোলা বা গুগল কেউই এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

মটোরোলা এক্স ফোন

তবে প্রযুক্তি বিশ্বে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর ফাঁস হতেই থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মটোরোলা এক্স-ফোন সম্পর্কিত কিছু তথ্যও সম্প্রতি ইন্টারনেট জগতে ফাঁস হয়েছে। প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য প্রদান করে থাকে এরকম একটি সংস্থা ‘এভ লিকস’ সম্প্রতি তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক্স ফোন বিষয়ক তথ্যটি প্রদান করে। এভ লিকস এর দাবি অনুযায়ী ফোনটি হবে একটি মাঝারি ক্ষমতা সম্পন্ন ফোন। যদিও এর আগে মটোরোলার সিইও দাবি করেছেন এটি হতে যাচ্ছে একটি ‘ হিরো’ ডিভাইস।

ফাঁস হওয়া তথ্য অনুসারে এই স্মার্টফোনটিতে থাকছে ৭২০পি OLED ডিসপ্লে যদিও এর ডাইমেনশন কত হবে সেটি উল্লেখ করা হয় নি। ১.৭ গিগাহার্জ গতির ডুয়েলকোর ক্রেইট প্রসেসর, ২ জিবি র‍্যাম, কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এমএসএম ৮৯৬০ প্রো চিপসেট থাকতে পারে মটোরোলা এক্স ফোনে। ১৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ সুবিধা সম্পন্ন ডিভাইসটিতে এক্সপ্যান্ডেবল স্টোরেজ সুবিধা থাকছে কিনা সেটি এখনই জানা যায় নি।

ফোনটিতে ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে ১০ মেগাপিক্সেল রিয়ার এবং ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। মটোরোলা দাবি করেছে ডিভাইসটি ব্যবহারকারীরা অচিরেই দুর্দান্ত একটি ক্যামেরা ফোনের স্বাদ পেতে যাচ্ছেন। এর ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে অনায়াসেই ভিডিও কলিংসহ প্রয়োজনীয় কাজ সারা যাবে। এছাড়াও এতে ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি দেয়া হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।

সবশেষে এভ লিকস এর দাবি অনুযায়ী ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ সংস্করণ যা অ্যান্ড্রয়েডপ্রেমীদের কিছুটা হতাশ করেছে। বিশেষ করে যারা আশায় ছিলেন গুগল ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েড ৫ সংস্করণ কি লাইম পাই ব্যবহার করবে। এভ লিকস এর দেয়া তথ্য সঠিক হলে বলতে হয় আমরা খুব শীঘ্রই হয়ত ৪.৩ অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি না। তবে অনেকেই ধারণা করছে যদি অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে মটোরোলা এক্স ফোন বাজারে আসে, তাহলে এটি অ্যান্ড্রয়েডের মেজর আপডেট কি লাইম পাই-এর মাধ্যমেই অবমুক্ত হতে পারে, যেটি হবে এক্স ফোনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।

মটোরোলা এক্স ফোন সম্পর্কে আপনার মতামত ও প্রত্যাশা মন্তব্যের ঘরে জানাতে ভুলবেন না।

এইচটিসি ও স্যামসাং-এর পথ ধরে সনিও আনছে Xperia Z-এর গুগল এডিশন

স্যামসাং-এর বর্তমান ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যালাক্সি এস৪-এর গুগল এডিশন গত মাসে অবমুক্ত করেছে গুগল। এর আগে এইচটিসি-ও গুগল এডিশনের একটি ডিভাইস বাজারে এনেছে। সম্প্রতি খবর শোনা যাচ্ছে যে, এই দুই কোম্পানির পথ অনুসরণ করে সনিও এবার এক্সপেরিয়াড জেড-এর একটি গুগল এডিশন এ মাসের শেষেই ঘোষিত হবে।

এক্সপেরিয়া জেড

গুগল এডিশন বলতে মূলত একই হার্ডওয়্যারে স্টক অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল থাকাকে বোঝায়। অনেকটা নেক্সাস ডিভাইসের মতোই যেখানে প্রস্তুতকারক কোম্পানির কোনো কাস্টোমাইজেশন কিংবা নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশনে ঠাসা থাকে না ফোন। আমরা জানি, স্যামসাং তাদের সব ডিভাইসে “টাচউইজ” নামের ইন্টারফেস ব্যবহার করে। এইচটিসিও তাদের “সেন্স” ইউজার ইন্টারফেস তাদের প্রায় সব এইচটিসি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে দিয়ে থাকে। কিন্তু গুগল এডিশনে নিজস্ব এসব ইউআই বাদ দিয়ে গুগলের নেক্সাস ডিভাইসে যেমন থাকে, ঠিক তেমন অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার দেয়া থাকে।

অন্য কথায়, একেই বলা হয় স্টক অ্যান্ড্রয়েড।

সূত্র জানিয়েছে, এ মাসের শেষের দিকেই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে এক্সপেরিয়া জেড-এর গুগল এডিশন বিক্রি করা হবে। গুগল এডিশনের সুবিধার কথা ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে। বিশেষ করে ডেভেলপারদের জন্য তৈরি করা হলেও স্টক অ্যান্ড্রয়েড থাকার কারণে ডিভাইসের হার্ডওয়্যার ও বিভিন্ন সেন্সর একই রেখে ইন্টারনাল মেমোরি স্টোরেজ বেশি ফাঁকা পাওয়া সম্ভব হয় এবং ফোনও তুলনামূলক দ্রুত কাজ করতে পারে। মূলত এ কারণেই স্টক অ্যান্ড্রয়েডের প্রতি ব্যবহারকারীদের দুর্বলতা বেশি লক্ষ্য করা যায় যেটি নেক্সাস ফোন ও ট্যাবলেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

স্টক অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করেই এবার স্যামসাং ও এইচটিসিকে অনুসরণ করে সনি আনছে স্টক অ্যান্ড্রয়েড-চালিত এক্সপেরিয়া জেড। অনেকের মতে, নতুন এই ট্রেন্ড বা চল চালু হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা হাতে পাবেন একই মডেলের অথচ দ্রুততর ডিভাইস।

পাশাপাশি দামে বিক্রি হলে স্টক অ্যান্ড্রয়েড চালিত এসব ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসের গুগল এডিশন কিনবেন নাকি প্রস্তুতকারক কোম্পানির নিজস্ব ইউআই-এর ডিভাইসই কিনবেন? আপনার মতামত মন্তব্যের ঘরে জানিয়ে যেতে ভুলবেন না!

এইচটিসি ঘোষণা দিলো ৫” ফুল এইডি ডিসপ্লের বাটারফ্লাই এস

এইচটিসি তাদের ওয়ান ডিভাইস নিয়ে সেরা তিন অ্যান্ড্রয়েডের তালিকায় স্থান করে নিলেও প্রথম ১০৮০পি ফুল এইডি ডিসপ্লের স্মার্টফোন বের হয় কেবল জাপানের বাজারকে কেন্দ্র করে। এইচটিসি বাটারফ্লাই জে মডেলের ফোনটি বেশ সাড়া ফেললেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে না আসায় তা খুব একটা আলোচিত হয়নি। কিন্তু আজ এইচটিসি ঘোষণা দিয়েছে সেই বাটারফ্লাই সিরিজের নতুন ফোন এইচটিসি বাটারফ্লাই এস।

এইচটিসি বাটারফ্লাই এস

এইচটিসি ওয়ান-এরই মূলত আরেকটু উন্নত হার্ডওয়্যার সম্পন্ন সংস্করণ বলা যেতে পারে এইচটিসি বাটারফ্লাই এস স্মার্টফোনকে যেটায় ব্যবহৃত হবে ১.৯ গিগাহার্জ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬০০ কোয়াড-কোর প্রসেসর, ৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি করনিং গরিলা গ্লাস। ৪৪০ পিক্সেল পার ইঞ্চির এই ডিভাইসে থাকছে ২ গিগাবাইট র‌্যাম, ১৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ যা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে এবং এইচটিসির নতুন প্রযুক্তির আল্ট্রাপিক্সেল ক্যামেরা।


এইচটিসি বাটারফ্লাই এস-এর আরও দু’টি বিশেষত্ব রয়েছে। সেন্স ৫ ইউজার ইন্টারফেস সম্পন্ন এই ডিভাইসে দেয়া হয়েছে বিটস অডিও সম্পন্ন ডুয়াল ফ্রন্ট-ফেসিং বুমসাউন্ড স্পিকার এবং ৩২০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এছাড়াও এতে ব্লুটুথ ৪.০ এবং ওয়াই-ফাই এর নতুন প্রযুক্তি 802.11 a/b/g/n/ac এর সাপোর্ট রয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের কোন সংস্করণ এটিতে চলবে তা এখনও জানা যায়নি।

এইচটিসি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নতুন এই ডিভাইসটিও বাটারফ্লাই জে-এর মতো এশিয়ার বাজারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আগামী জুলাইয়েই এটি বাজারে পাওয়া যাবে। তবে একাধিক সূত্র ধারণা করছে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও প্রবেশ করতে পারে এইচটিসির নতুন এই ফুল এইচডি স্মার্টফোন।

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best Web Host