Tuesday, June 25, 2013

ফাঁস হল বহুল প্রতীক্ষিত মটোরোলা এক্স স্মার্টফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন

গুগল মটোরোলার সাথে কাজ করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই যে ফোনটি নিয়ে সবার অদম্য আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে সেটি হল ‘মটোরোলা এক্স’ ফোন। বিশেষ করে গত মে মাসে অনুষ্ঠিত ডি ১১ সম্মেলনে মটোরোলার সিইও ডেনিস উডসাইড এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই ফোনটি স্মার্টফোন প্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তবে এই ফোনটিতে ব্যবহারকারীদের জন্য ঠিক কী ধরনের সুবিধা থাকছে এ প্রসঙ্গে মটোরোলা বা গুগল কেউই এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

মটোরোলা এক্স ফোন

তবে প্রযুক্তি বিশ্বে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর ফাঁস হতেই থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মটোরোলা এক্স-ফোন সম্পর্কিত কিছু তথ্যও সম্প্রতি ইন্টারনেট জগতে ফাঁস হয়েছে। প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য প্রদান করে থাকে এরকম একটি সংস্থা ‘এভ লিকস’ সম্প্রতি তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক্স ফোন বিষয়ক তথ্যটি প্রদান করে। এভ লিকস এর দাবি অনুযায়ী ফোনটি হবে একটি মাঝারি ক্ষমতা সম্পন্ন ফোন। যদিও এর আগে মটোরোলার সিইও দাবি করেছেন এটি হতে যাচ্ছে একটি ‘ হিরো’ ডিভাইস।

ফাঁস হওয়া তথ্য অনুসারে এই স্মার্টফোনটিতে থাকছে ৭২০পি OLED ডিসপ্লে যদিও এর ডাইমেনশন কত হবে সেটি উল্লেখ করা হয় নি। ১.৭ গিগাহার্জ গতির ডুয়েলকোর ক্রেইট প্রসেসর, ২ জিবি র‍্যাম, কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এমএসএম ৮৯৬০ প্রো চিপসেট থাকতে পারে মটোরোলা এক্স ফোনে। ১৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ সুবিধা সম্পন্ন ডিভাইসটিতে এক্সপ্যান্ডেবল স্টোরেজ সুবিধা থাকছে কিনা সেটি এখনই জানা যায় নি।

ফোনটিতে ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে ১০ মেগাপিক্সেল রিয়ার এবং ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। মটোরোলা দাবি করেছে ডিভাইসটি ব্যবহারকারীরা অচিরেই দুর্দান্ত একটি ক্যামেরা ফোনের স্বাদ পেতে যাচ্ছেন। এর ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে অনায়াসেই ভিডিও কলিংসহ প্রয়োজনীয় কাজ সারা যাবে। এছাড়াও এতে ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি দেয়া হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।

সবশেষে এভ লিকস এর দাবি অনুযায়ী ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ সংস্করণ যা অ্যান্ড্রয়েডপ্রেমীদের কিছুটা হতাশ করেছে। বিশেষ করে যারা আশায় ছিলেন গুগল ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েড ৫ সংস্করণ কি লাইম পাই ব্যবহার করবে। এভ লিকস এর দেয়া তথ্য সঠিক হলে বলতে হয় আমরা খুব শীঘ্রই হয়ত ৪.৩ অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি না। তবে অনেকেই ধারণা করছে যদি অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে মটোরোলা এক্স ফোন বাজারে আসে, তাহলে এটি অ্যান্ড্রয়েডের মেজর আপডেট কি লাইম পাই-এর মাধ্যমেই অবমুক্ত হতে পারে, যেটি হবে এক্স ফোনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।

মটোরোলা এক্স ফোন সম্পর্কে আপনার মতামত ও প্রত্যাশা মন্তব্যের ঘরে জানাতে ভুলবেন না।

এইচটিসি ও স্যামসাং-এর পথ ধরে সনিও আনছে Xperia Z-এর গুগল এডিশন

স্যামসাং-এর বর্তমান ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যালাক্সি এস৪-এর গুগল এডিশন গত মাসে অবমুক্ত করেছে গুগল। এর আগে এইচটিসি-ও গুগল এডিশনের একটি ডিভাইস বাজারে এনেছে। সম্প্রতি খবর শোনা যাচ্ছে যে, এই দুই কোম্পানির পথ অনুসরণ করে সনিও এবার এক্সপেরিয়াড জেড-এর একটি গুগল এডিশন এ মাসের শেষেই ঘোষিত হবে।

এক্সপেরিয়া জেড

গুগল এডিশন বলতে মূলত একই হার্ডওয়্যারে স্টক অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল থাকাকে বোঝায়। অনেকটা নেক্সাস ডিভাইসের মতোই যেখানে প্রস্তুতকারক কোম্পানির কোনো কাস্টোমাইজেশন কিংবা নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশনে ঠাসা থাকে না ফোন। আমরা জানি, স্যামসাং তাদের সব ডিভাইসে “টাচউইজ” নামের ইন্টারফেস ব্যবহার করে। এইচটিসিও তাদের “সেন্স” ইউজার ইন্টারফেস তাদের প্রায় সব এইচটিসি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে দিয়ে থাকে। কিন্তু গুগল এডিশনে নিজস্ব এসব ইউআই বাদ দিয়ে গুগলের নেক্সাস ডিভাইসে যেমন থাকে, ঠিক তেমন অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার দেয়া থাকে।

অন্য কথায়, একেই বলা হয় স্টক অ্যান্ড্রয়েড।

সূত্র জানিয়েছে, এ মাসের শেষের দিকেই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে এক্সপেরিয়া জেড-এর গুগল এডিশন বিক্রি করা হবে। গুগল এডিশনের সুবিধার কথা ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে। বিশেষ করে ডেভেলপারদের জন্য তৈরি করা হলেও স্টক অ্যান্ড্রয়েড থাকার কারণে ডিভাইসের হার্ডওয়্যার ও বিভিন্ন সেন্সর একই রেখে ইন্টারনাল মেমোরি স্টোরেজ বেশি ফাঁকা পাওয়া সম্ভব হয় এবং ফোনও তুলনামূলক দ্রুত কাজ করতে পারে। মূলত এ কারণেই স্টক অ্যান্ড্রয়েডের প্রতি ব্যবহারকারীদের দুর্বলতা বেশি লক্ষ্য করা যায় যেটি নেক্সাস ফোন ও ট্যাবলেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

স্টক অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করেই এবার স্যামসাং ও এইচটিসিকে অনুসরণ করে সনি আনছে স্টক অ্যান্ড্রয়েড-চালিত এক্সপেরিয়া জেড। অনেকের মতে, নতুন এই ট্রেন্ড বা চল চালু হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা হাতে পাবেন একই মডেলের অথচ দ্রুততর ডিভাইস।

পাশাপাশি দামে বিক্রি হলে স্টক অ্যান্ড্রয়েড চালিত এসব ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসের গুগল এডিশন কিনবেন নাকি প্রস্তুতকারক কোম্পানির নিজস্ব ইউআই-এর ডিভাইসই কিনবেন? আপনার মতামত মন্তব্যের ঘরে জানিয়ে যেতে ভুলবেন না!

এইচটিসি ঘোষণা দিলো ৫” ফুল এইডি ডিসপ্লের বাটারফ্লাই এস

এইচটিসি তাদের ওয়ান ডিভাইস নিয়ে সেরা তিন অ্যান্ড্রয়েডের তালিকায় স্থান করে নিলেও প্রথম ১০৮০পি ফুল এইডি ডিসপ্লের স্মার্টফোন বের হয় কেবল জাপানের বাজারকে কেন্দ্র করে। এইচটিসি বাটারফ্লাই জে মডেলের ফোনটি বেশ সাড়া ফেললেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে না আসায় তা খুব একটা আলোচিত হয়নি। কিন্তু আজ এইচটিসি ঘোষণা দিয়েছে সেই বাটারফ্লাই সিরিজের নতুন ফোন এইচটিসি বাটারফ্লাই এস।

এইচটিসি বাটারফ্লাই এস

এইচটিসি ওয়ান-এরই মূলত আরেকটু উন্নত হার্ডওয়্যার সম্পন্ন সংস্করণ বলা যেতে পারে এইচটিসি বাটারফ্লাই এস স্মার্টফোনকে যেটায় ব্যবহৃত হবে ১.৯ গিগাহার্জ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬০০ কোয়াড-কোর প্রসেসর, ৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি করনিং গরিলা গ্লাস। ৪৪০ পিক্সেল পার ইঞ্চির এই ডিভাইসে থাকছে ২ গিগাবাইট র‌্যাম, ১৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ যা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে এবং এইচটিসির নতুন প্রযুক্তির আল্ট্রাপিক্সেল ক্যামেরা।


এইচটিসি বাটারফ্লাই এস-এর আরও দু’টি বিশেষত্ব রয়েছে। সেন্স ৫ ইউজার ইন্টারফেস সম্পন্ন এই ডিভাইসে দেয়া হয়েছে বিটস অডিও সম্পন্ন ডুয়াল ফ্রন্ট-ফেসিং বুমসাউন্ড স্পিকার এবং ৩২০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এছাড়াও এতে ব্লুটুথ ৪.০ এবং ওয়াই-ফাই এর নতুন প্রযুক্তি 802.11 a/b/g/n/ac এর সাপোর্ট রয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের কোন সংস্করণ এটিতে চলবে তা এখনও জানা যায়নি।

এইচটিসি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নতুন এই ডিভাইসটিও বাটারফ্লাই জে-এর মতো এশিয়ার বাজারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আগামী জুলাইয়েই এটি বাজারে পাওয়া যাবে। তবে একাধিক সূত্র ধারণা করছে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও প্রবেশ করতে পারে এইচটিসির নতুন এই ফুল এইচডি স্মার্টফোন।

উইন্ডোজ ও অ্যান্ড্রয়েড দু’টোই চলবে স্যামসাং-এর এক ট্যাবলেটে

অ্যান্ড্রয়েড চালিত গ্যালাক্সি সিরিজের ব্যাপক সাফল্যের কথা নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে শুধু গ্যালাক্সি সিরিজই নয়, স্যামসাং এবার তাদের উইন্ডোজ চালিত অ্যাটিভ সিরিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর দিকেও নজর দিচ্ছে। আর এ জন্য তারা দূর্দান্ত এক মার্কেটিং স্টান্ট নিয়েছে। তাদের নতুন একটি ট্যাবলেটে একই সঙ্গে উইন্ডোজ ও অ্যান্ড্রযেড অপারেটিং সিস্টেম চালানোর সুবিধা দেয়া হয়েছে।


অ্যাটিভ সিরিজের ডিভাইসগুলোতে শুধু উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম থাকবে বলে ধারণা করা হলেও স্যামসাং ডুয়েল বুট সুবিধাটির ঘোষণা দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। কারন ATIV Q নামের নতুন ডিভাইসে তারা উইন্ডোজ ৮ এর পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ ও দিচ্ছে। অর্থাৎ এতে ডুয়াল বুট অপশন থাকছে যা উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েডপ্রেমীদেরও এই ডিভাইস কিনতে উৎসাহিত করবে।


স্যামসাং তাদের এই নতুন ডিভাইসটিকে ল্যাপটপ হিসেবে দাবি করলেও এটিকে মূলত কিবোর্ডসহ একটি ট্যাবই বলা যায়, যাকে অনেকে কনভার্টিবল বলে সম্বোধন করে থাকেন। কারণ ট্যাবলেটের মতোই এতে রয়েছে ১৩.৩ ইঞ্চি প্রশস্ত টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে যার রেজলুশন ৩২০০x১৮০০ পিক্সেল। তাছাড়া এতে স্যামসাং এর নিজস্ব এস পেন স্টাইলাসও থাকছে।


এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকতে পারে যে ডিভাইসটিতে উইন্ডোজ ও অ্যান্ড্রয়েড দুটি ওএস ই থাকলেও কেন একে গ্যালাক্সি সিরিজের না করে একে অ্যাটিভ করা হলো। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর এখনই পেয়ে যাবেন কারন ATIV Q নামের ্‌এই ডিভাইসটি মূলত উইন্ডোজ ৮ এর মাধ্যমেই চলবে। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলে যেকোন সময় উইন্ডোজ থেকে অ্যান্ড্রয়েড-এ সুইচ করতে পারবে। অর্থাৎ, মূল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইন্ডোজ ৮-ই থাকবে, কিন্তু ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমও ব্যবহার করতে পারবেন। এ কারনে অ্যাটিভ দিয়েই এর নামকরণ করা হয়।

 
ধারনা করা হচ্ছে Acer R7 ল্যাপটপটি দেখেই স্যামসাং তাদের এই ATIV Q বানাতে উৎসাহী হয়েছে। তবে Acer R7 এর তুলনায় আকারে ATIV Q একটু ছোট, ওজনের দিক দিয়েও হালকা। তাই এধরনের ল্যাপটপগুলো মাঝে ATIV Q -ই সবার প্রথম পছন্দ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Acer R7 এর মত এর কিবোর্ডটিও বেশ স্টাইলিশ। সাধারন ল্যাপটপের মত শুধু ভাঁজ করেই নয়, নিজের ব্যবহারের সুবিধা অনুযায়ী একে বিভিন্ন আকার ও আকৃতিতে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া স্যামসাং এর নিজস্ব ব্র্যান্ড মেটাল ডিজাইনের জন্য এটি যে কারও নজর কাড়তে সক্ষম।

 
সব দিক থেকে এটিকে স্যামসাং এর তৈরি একটি আদর্শ ডিভাইসই বলা চলে। এবার শুধু দেখার পালা আন্তর্জাতিক বাজারে এটি কেমন প্রভাব ফেলে।  উইন্ডোজ ৮ ভিত্তিক ট্যাবলেট ডিভাইস অনেকেই পছন্দ করেন, কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডের লোভও ছাড়তে পারেন না। দু’টি অপারেটিং সিস্টেম একই সঙ্গে পাওয়া গেলে অনেকের জন্যই এটি একটি “স্বপ্নীল ডিভাইস” হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ডিভাইসটির দামও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, যা প্রতিষ্ঠানটি এখনও ঘোষণা দেয়নি। এছাড়াও উইন্ডোজের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েডে ডুয়েল বুট করার সুবিধা রাখার বিষয়টিই প্রমাণ করে মাইক্রোসফটের নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমের উপর এখনও পুরোপুরি নির্ভর করতে পারছে না স্যামসাং।

আপনার কি ধারণা অ্যাটিভ সিরিজও গ্যালাক্সি সিরিজের মত জনপ্রিয়তা লাভ করবে ?

এবার ডেস্কটপ কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড আনছে এইচপি

অ্যান্ড্রয়েড প্রথমে মোবাইল ফোনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও থেমে থাকেনি সেখানে। ধীরে ধীরে ট্যাবলেটে, ল্যাপটপ কম্পিউটারে, স্যাটেলাইটে, ঘড়িতেসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থান করে নিয়েছে এই অপারেটিং সিস্টেম। অ্যান্ড্রয়েড চালানো সম্ভব এমন ল্যাপটপ ইতোমধ্যেই বাজারে থাকলেও ডেস্কের উপর থাকা বিশালাকৃতির কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে এবার বাজারে আনতে যাচ্ছে এইচপি স্লেট ২১।



এইচপির নতুন এই অল-ইন-ওয়ান ডেস্কটপ কম্পিউটারের আকৃতি ২১.৫ ইঞ্চি, যার পুরোটাই টাচস্ক্রিনের পর্দা। স্লেট ২১ নামের এই ডিভাইসের অস্বাভাবিক আকৃতির বড় একটি ট্যাবলেট বলা যায় যেটি কিক স্ট্যান্ডের মাধ্যমে ডেস্কটপের উপর সেট করা যায়। ১০৮০পি আইপিএস ডিসপ্লে সম্পন্ন এই অ্যান্ড্রয়েড ডেস্কটপে রয়েছে এনভিডিয়া টেগরা ৪ প্রসেসর ও অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ।

মাত্র ৩৯৯ ডলারের এই ডিভাইসে অবশ্য কোনো বিল্ট-ইন ব্যাটারি দেয়া হয়নি। অর্থাৎ, সাধারণ ডেস্কটপের মতোই এটি সবসময় পাওয়ার সোর্সের সঙ্গে সংযুক্ত রেখে কাজ করতে হবে। এটির পাশাপাশি এইচপি আরও কিছু উইন্ডোজ ৮ ব্যবহৃত অল-ইন-ওয়ান ডিভাইস বাজারে আনছে যেগুলোয় রয়েছে ব্যাটারি ও ইনটেলের নতুন হ্যাজওয়েল প্রসেসর। তবে অ্যান্ড্রয়েড চালিত বিশাল স্ক্রিনের এই ডেস্কটপ কেমন পারফর্ম করবে তা জানার জন্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বকে।

আর হ্যাঁ, এতে উইন্ডোজ চালানো যাবে কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে ডিভাইসটি বাজারে আসলে আমরা অবশ্যই এটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবো। সে পর্যন্ত জানান অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ডেস্কটপ কম্পিউটার কেনার কোনো কারণ আছে কি না!

Sunday, June 9, 2013

গ্রামীণফোন আনলো Symphony T7i এবং T8i ট্যাবলেট


সিম্ফনি জিপি


সিম্ফনি কিছুদিন আগেই তাদের ফেসবুক পেইজে ঘোষণা দিয়েছিল জনপ্রিয় ট্যাবলেট ডিভাইস টি৭ ও টি৮-এর পরবর্তী সংস্করণ Symphony T7i এবং T8i বাজারে আনার। সম্প্রতি গ্রামীণফোন তাদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়েছে সিম্ফনির নতুন এই ট্যাবলেট দু’টির।


এর আগে প্রথমবারের মতো যখন সিম্ফনি এই দু’টি ট্যাবলেট বাজারে আনে, তখনও গ্রামীণফোনের মাধ্যমেই ট্যাব দু’টি বিক্রি করা হয়। স্পেসিফিকেশনের তুলনায় দাম অনেক কম হওয়ার কারণে দ্রুত ট্যাবগুলোর স্টক ফুরিয়ে যায় এবং অনেক ক্রেতাই ট্যাব কিনতে গিয়ে ফেরৎ আসেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। প্রথমবারের মতো এবারও গ্রামীণফোনের মাধ্যমেই ট্যাবগুলো বাজারে আনার কারণে আবারও স্টক স্বল্পতা ও হয়রানির আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

সিম্ফনির নতুন এই ট্যাব দু’টোর স্পেসিফিকেশন অনেকটা পুরনো ট্যাবগুলোর মতোই। নিচে ট্যাবগুলোর আলাদা স্পেসিফিকেশন এবং মূল্য দেয়া হলোঃ

Symphony T8i

 

সিম্ফনি টি৮আই

  • ৮” আইপিএস ডিসপ্লে ও রেজুলেশন ৭৬৮*১০২৪ পিক্সেল
  • ১ গিগাহার্টজ ডুয়েল-কোর প্রসেসর
  • ১ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ
  • গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট PowerVR SGX 531 জিপিইউ
  • ৫ মেগাপিক্সেল ব্যাক ও ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
  • অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৪ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ
  • ৩জি ইন্টারনেট সুবিধা, কল করার সুবিধা
  • জিপিএস-সহ অন্যান্য সেন্সর
  • ৪৭০০ এমএএইচ ব্যাটারি
  • দামঃ ১৩,৯৯০ টাকা।

Symphony T7i

 

symphony t7i

  • ৭” টিএফটি ডিসপ্লে যার রেজুলেশন ৪৮০*৮০০ পিক্সেল
  • ১ গিগাহার্টজ ডুয়েল-কোর প্রসেসর
  • ৪ গিগাবাইট রম, ৫১২ মেগাবাইট র‍্যাম
  • ২ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা এবং ০.৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
  • অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৪ আইসিএস।
  • গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট PowerVR SGX 531 ।
  • ৩জি ও কল সুবিধা।
  • জিপিএস ও জি-সেন্সর।
  • ৩০০০ এমএএইচ ব্যাটারি।
  • দামঃ ১০,৯৯০ টাকা।
গ্রামীণফোন নতুন এই দু’টি ট্যাবলেটের সঙ্গেই বিনামূল্যে ৪ গিগাবাইট মেমোরি কার্ড এবং মাত্র ৯৯ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদের ১ গিগাবাইট ইন্টারনেট প্যাকেজ দিচ্ছে। গ্রামীণফোনের প্যাকেজ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাবেন গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটে
নতুন ট্যাবগুলোর স্পেসিফিকেশন পুরনোগুলোর তুলনায় খুব একটা আপডেটেড না হলেও দাম প্রায় কাছাকাছিই রাখা হয়েছে। তবুও দামের বিবেচনায় বলাই যায় যে, আসলেই দারুণ দু’টি ট্যাবলেট সিম্ফনি টি৮আই ও টি৭আই। বিশেষ করে টি৮আই ট্যাবলেটটি গত টি৮-এর মতোই যথেষ্ট দারুণ একটি ডিভাইস হতে পারে। তবে এবারও যেন গতবারের মতো ট্যাব কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের ফেরৎ আসতে না হয়, সেই প্রত্যাশাই করছেন অনেকে।

সিম্ফনির নতুন এই দু’টি ট্যাব নিয়ে আপনার কী মতামত?

Thursday, June 6, 2013

আসছে নতুন ট্যাবলেট Symphony T8i ও T7i

বর্তমানে চলছে ট্যাব এর জয়জয়াকার। ক্রেতারা যেমন আগ্রহী এর ব্যাপারে, তেমনি বিক্রেতা এবং নির্মাতারাও। কমদামে দেশী ব্র্যান্ডের প্রথম দু’টি ট্যাব সিম্ফনি টি৭ ও টি৮-এর তুমুল সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সিম্ফনি সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে এই দু’টি ট্যাবের নতুন দু’টি সংস্করণ বাজারে আনার। কোম্পানিটি তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, শিগগিরই Symphony T7i ও T8i মডেলের নতুন দু’টি ট্যাবলেট বাজারে আসছে।



ফেসবুক পেজে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সিম্ফনির আগামী ট্যাব টি৮আই-এ যে স্পেসিফিকেশন থাকছে তা নিম্নরূপঃ

- ১ গিগাহার্জ ডুয়ালকোর প্রসেসর। (সম্ভবত MTK6577)
- ৩জি, ২জি ও ওয়াইফাই।
- জিপিএস ও গ্রাভিটি সেন্সর।
- ১০২৪x৭৬৮ (এক্সজিএ) রেজুলেশনের ৮” ইঞ্চি ডিসপ্লে, TFT বা IPS কিনা জানানো হয়নি।
- ৫ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
- ৪৭০০ mAh ব্যাটারি।
- ১ গিগাবাইট র‌্যাম।
- সফটওয়্যারের দিক থেকে আগের মতই এবারও অ্যান্ড্রয়েডের আইসক্রিম স্যান্ডউইচ সংস্করণ থাকছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য জরুরি কিছু অ্যাপ্লিকেশন বিল্ট-ইন দেয়া থাকবে বলেও বলা হয়েছে।

যা যা টি৮ এর তুলনায় নতুন থাকছেঃ

- টি৮এর ২ মেগাপিক্সেলের তুলনায় এবার ৫ মেগাপিক্সেল, সামনেও ভিজিএর তুলনায় ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।

- টি৮আইএ ৪৭০০ mAh ব্যাটারি থাকছে, টি৮এ ৪২০০ mAh ব্যাবহার করা হয়েছিল। অর্থাৎ, নতুন ট্যাবে ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি পাওয়া যাবে।

টি৮আইএর অন্যান্য ফিচার টি৮এর মতই থাকছে, যদিও দুটি ট্যাব দেখতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ট্যাবটির পুরুত্ব জানানো হয়েছে ১১.৪ মিলি, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ২০৩.৮ মিলি ও ১৫৩.৫ মিলি, অর্থাৎ টি৮আই বেশ বড়সড় আকারের।

দাম সম্পর্কে কিছু জানানো না হলেও ফিচার প্রায় এক হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে এর দামও টি৮-এর মতোই হবে। কবে নাগাদ বাজারে আসবে সেটিও বলা হয়নি। একটু পুরনো অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ ব্যবহার করা হলেও শক্তিশালী ক্যামেরা ও বড় ধারণক্ষমতার ব্যাটারি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে অনেকটাই সফল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবার আপনার পালা। আপনি কি এই দাম ও স্পেসিফিকেশনে সন্তুষ্ট? পড়ে অবশ্যই জানাবেন টি৮আই সম্পর্কে আপনার মতামত।

সিম্ফনি ঘোষণা দিলো নতুন ফোন Symphony W71

তুলনামূলক কম দামে মোটামুটি সব সুবিধাসম্পন্ন ডিভাইস হিসেবে সিম্ফনি ডব্লিউ ৭০ বাজারে জনপ্রিয়তা হারানোর আগেই সিম্ফনি সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে নতুন আরেকটি সিকুয়েল সিম্ফনি এক্সপ্লোরার ডব্লিউ ৭১-এর। কোম্পানিটি তাদের ওয়েবসাইটের আপকামিং ফোন বিভাগে নতুন এই স্মার্টফোনটি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছে।


symphony w71



দাম এখনও উল্লেখ করা না হলেও Symphony W71-এ অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন, ৪.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে যার রেজুলেশন 854*480 পিক্সেল, ১.২ গিগাহার্জ করটেক্স এ৯ ডুয়েল কোর প্রসেসর ও পাওয়ারভিআর এসজিএক্স ৫৩১ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এতে ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম ও ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ দেয়া হয়েছে।
সিম্ফনি ডব্লিউ ৭০-এর সঙ্গে ডব্লিউ ৭১-এর মূল পার্থক্যগুলো এর ডিসপ্লে রেজুলেশন, ব্যাটারি এবং ডিসপ্লে সাইজে। সিম্ফনি ডব্লিউ ৭০-এর ডিসপ্লে রেজুলেশন 480*800 পিক্সেল, ডিসপ্লে সাইজ ৪ ইঞ্চি এবং ব্যাটারির ক্ষমতা ২৫০০ এমএএইচ, যেটি এই ফোনের অন্যতম প্রধান বিশেষত্ব বলে বিবেচিত ছিল। কিন্তু ডব্লিউ ৭১-এ ব্যাটারির ক্ষমতা কমিয়ে ১৭০০ এমএএইচ-এ করা হয়েছে যদিও ডিসপ্লে সাইজ বাড়িয়ে ৪.৫ ইঞ্চি ও ডিসপ্লে রেজুলেশন বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়াও আরেকটি সুবিধা হলো এটিতে শুরু থেকেই অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন দেয়া থাকছে। এতে অবশ্য সিম্ফনি ডব্লিউ ৭০ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ থেকে জেলি বিন-এ আপডেট পাবে কি না সে বিষয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
সিম্ফনি ডব্লিউ ৭১ ও ডব্লিউ ৭০-এর স্পেসিফিকেশনের বিচারে আপনার পছন্দ কোনটি? বর্তমানে ডব্লিউ ৭0-এর বিক্রয়মূল্য ৯,৮২৫ টাকা। কত দাম হলে সিম্ফনি ডব্লিউ ৭১-এর দাম যথার্থ হবে বলে মনে করেন?

জুনেই আসছে ইন্টেল প্রসেসরের গ্যালাক্সি ট্যাব ৩

স্যামসাং এবার তাদের গ্যালাক্সি ট্যাব সিরিজে  ৮” ও ১০.১” আকারের আরো দুটি নতুন ট্যাবলেট সংযোজন করলো। এদের মধ্যে ১০.১ ইঞ্চির ট্যাবটি ইন্টেলের তৈরি প্রসেসর চালিত বলে জানা গেছে।
গ্যালাক্সি ট্যাব ৩
৮ ইঞ্চির গ্যালাক্সি ট্যাব ৩ এ রয়েছে ১.৫ গিগাহার্জ এক্সিনস ডুয়াল কোর প্রসেসর, WXGA TFT ১২৮০x৮০০ রেজলুশনের ডিসপ্লে, ১.৫ গিগাবাইট র‍্যাম, ৫ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা এবং ১.৩ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, ৪৪৫০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৬ বা ৩২ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরি।


তবে স্যামসাং জানিয়েছে, ৮ ইঞ্চির গ্যালাক্সি ট্যাব ৩ তাদের নিজস্ব প্রসেসরের হলেও ১০.১ ইঞ্চি মডেলটিতে চলবে ইন্টেলের ১.৬ গিগাহার্জ ডুয়াল-কোর প্রসেসর। স্যামসাং আরও জানিয়েছে, “ট্রাস্টেড পার্টনারদের” কাছ থেকে চিপসেটসহ বিভিন্ন কম্পোনেন্ট ব্যবহার করে স্যামসাং এই ১০.১ ইঞ্চি মডেলটি তৈরি করেছে যাতে ব্যবহারকারীদের জন্য কন্সট্যান্ট হাই-কোয়ালিটি এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

ইন্টেল প্রসেসর-চালিত গ্যালাক্সি ট্যাব ৩ ১০.১ ইঞ্চি মডেলে রয়েছে ১৪৯ পিপিআই-এর 1280 x 800 রেজুলেশন ডিসপ্লে, ১ গিগাবাইট র‌্যাম, ১৬ ও ৩২ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ এবং ৬৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি। তবে এই মডেলের পেছনে ব্যবহৃত হয়েছে ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যদিও সামনে ৮ ইঞ্চি ট্যাবের মতোই ১.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দেয়া হয়েছে।

স্যামসাং তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানিয়েছে, দু’টি ডিভাইসেই ব্যবহৃত হবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ এবং স্যামসাং-এর টাচউইজ ইন্টারফেস এবং অ্যাপ্লিকেশনস। চলতি জুন মাসের মধ্যেই সারাবিশ্বের সব বাজারে এই দু’টি ট্যাব সহজলভ্য হবে বলে জানিয়েছে স্যামসাং।

এবারই যেহেতু প্রথম কোনো স্যামসাং অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটে ইন্টেলের প্রসেসরের দেখা মিলছে, সেহেতু বাজারে কেমন সাড়া পায় গ্যালাক্সি ট্যাব ৩-এর ১০.১ সংস্করণটি, তাই এখন দেখার বিষয়। আপনার কী ধারণা? কেমন যাবে ইন্টেল-চালিত গ্যালাক্সি ট্যাবলেটের বাজার?

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best Web Host