Wednesday, July 17, 2013

ফার্স্ট লুকঃ Walton Primo NX

Walton Primo সিরিজের ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে দেশের বাজারে বর্তমানে বেশ ভাল প্রভাব বিস্তার করছে ওয়াল্টন। তাছাড়া দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রথম ফ্যাবলেট এনেও এরই মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে তারা। তাদের প্রথম ফ্যাবলেট Walton Primo N1 এর ব্যাপক সাফল্যের পর এবার দেশের বাজারে তারা আরও একটি ফ্যাবলেট নিয়ে আসছে। ওয়াল্টন তাদের এই নতুন ফ্যাবলেটটির নাম দিয়েছে Walton Primo NX। দেশের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মতে ডিভাইসটি Walton Primo N1 এর জনপ্রিয়তাকেও ছাড়িয়ে যাবে।


বর্তামানে বসুন্ধরা সিটির ওয়াল্টন প্লাজাতে Walton Primo NX এর জন্য প্রি-অর্ডার নেয়ার পাশাপাশি পরখ করে দেখারও সুযোগ দিচ্ছে ওয়াল্টন। তবে হ্যান্ডস-অন রিভিউ দেয়ার মত সময় ও সুযোগ না দেয়ায় বসুন্ধরা সিটি থেকে ঘুরে এসে এখন কেবল ফার্স্ট লুকটাই দেয়া সম্ভব হচ্ছে। চলুন এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক কী আছে এই ডিভাইসে।

Walton Primo NX


সিপিইউ ও জিপিইউ

Walton Primo NX ডিভাইসটিতে এবার থাকছে থাকছে কর্টেক্স এ৭ ভিত্তিক মিডিয়াটেক এর ২৮ ন্যানোমিটার এমটিকে ৬৫৮৯ (MTK 6589) কোয়াড কোর প্রসেসর। আর বরাবরের মত থাকছে সেই পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৪৪ (PowerVR SGX544) জিপিইউ । সিপিইউ ও জিপিইউ এর দিক দিয়ে তেমন পরিবর্তন না আনলেও কেন এটি N1 কে ছাড়িয়ে যাবে সে ব্যাপারে সামনেই বিস্তারিত থাকছে।

র‍্যাম ও স্টোরেজ

Walton Primo N1 এর মত Walton Primo NX এও ওয়াল্টন দিয়েছে ১ গিগাবাইট র‍্যাম যার মাঝে ৯৭০ মেগাবাইট ব্যবহারযোগ্য। আর সাথে থাকছে ৪ গিগাবাইটের ইন্টারনাল স্টোরেজ। এছাড়া এক্সটার্নাল এসডি কার্ড স্লটের মাধ্যমে আপনি ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত আপগ্রেড করতে পারবেন।

কিন্তু ৪ গিগাবাইট ইন্টার্নাল স্টোরেজের মাঝে কেবল ১ গিগাবাইটই আপনি অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। বাকি ৩ গিগাবাইট মূল এসডি কার্ড হিসেবে থাকবে। তবে আপনি যদি কোন এক্সটার্নাল এসডি কার্ড লাগিয়ে ব্যবহার করেন তবে আপনার এক্সটার্নাল এসডি কার্ডটিই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল এসডি কার্ডে পরিবর্তিত হয়ে যাবে।

ডিসপ্লে

Walton Primo N1 এর মত Walton Primo NX এও থাকছে ৫.৩ ইঞ্চি প্রসস্ত গোরিলা গ্লাস সমৃদ্ধ আইপিএস ডিসপ্লে। তবে ডিসপ্লের দিক দিয়ে যা Walton Primo N1 -এর থেকে Walton Primo NX কে আলাদা করেছে তা হলো এর পিওর ব্ল্যাক লেভেল আইপিএস ডিসপ্লে যা ডিভাইসটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

এছাড়া ডিসপ্লের চারপাশে ৩.৯ মিলিমিটারের একটি ফ্রেমও রয়েছে। আর Walton Primo NX -এ এবার থাকছে ১২৮০x৭২০ রেজুলেশনের এইচডি ডিসপ্লে।

ক্যামেরা

ক্যামেরার দিক থেকেও Walton Primo NX -কে  N1 এর থেকে এগিয়ে রাখতে হবে কারণ এতে দেয়া হয়েছে CMOS সেন্সর বিশিষ্ট ফ্ল্যাশসহ ১৩ মেগাপিক্সেলের ব্লু গ্লাসের রিয়ার ক্যামেরা। ওয়াল্টন এর দাবি, ব্লু গ্লাসের এই ক্যামেরা সমান মেগাপিক্সেলের অন্যান্য ক্যামেরার চেয়ে স্পষ্ট ছবি ধারণ করতে সক্ষম। রিয়ার ক্যামেরা ছাড়াও এতে ৩ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরাও রয়েছে। এছাড়া উভয় ক্যামেরা দিয়ে ১০৮০ পিক্সেলের ভিডিও-ও ধারণ করা সম্ভব। তবে এর ক্যামেরার মূল আকর্ষণ হলো এতে জায়রোস্কোপ সেন্সর থাকায় আপনি চাইলে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ এর ফটোস্ফিয়ার ক্যামেরাও ব্যবহার করতে পারবেন।

ইউজার ইন্টারফেজ

অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.১ জেলি বিন চালিত Walton Primo NX এর ইউজার ইন্টারফেসে আগের ডিভাইসগুলোর চেয়ে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয়নি। বলতে গেলে ডিভাইসটিতে তারা সরাসরি জেলি বিন এর স্টক ইন্টারফেসই ব্যবহার করেছে। তবে ওয়াল্টন ডিভাইসটির সাথে যে লঞ্চারটি ইন্সটল করে দিয়েছে তা আমাদের কাছে কিছুটা ল্যাগি বলে মনে হয়েছে। তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনি কেনার পরই ডিভাইসটিতে নতুন একটি লঞ্চার ইন্সটল করে নেবেন।

সেন্সর ও মূল আকর্ষণ

এবার ডিভাইসটির মূল আকর্ষণে আসা যাক। Walton Primo N1 সফল হলেও অনেকেই ডিভাইসটি ব্যবহার করে পুরোপুরি খুশি হতে পারেনি এর সেন্সরের অভাবে। মূলত জায়রোস্কোপ সেন্সর না থাকাই এর প্রধান ছিল কারণ যার ফলে ডিভাইসটিতে ফটোস্ফিয়ার ক্যামেরা ব্যবহার করা যায়নি।

তবে সেই অভাবটি ওয়াল্টন এবার পূরণ করেছে তাদের নতুন ফ্যাবলেট Walton Primo NX -এর মাধ্যমে। কারণ এবার এই ডিভাইসটিতে তারা প্রায় সবরকম সেন্সরই যুক্ত করেছে। সেন্সরগুলোর মাঝে জায়রোস্কোপ সেন্সর, ৩ডি অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর, গ্রাভিটি সেন্সর, লিনিয়ার অ্যাক্সেলেরেশন সেন্সর, অরিয়েন্টেশন সেন্সর, কারেক্টেড জায়রোস্কোপ সেন্সর, রোটেশন ভেক্টর, ব্রাইটনেস সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, ম্যাগনেটিক ফিল্ড সেন্সর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এতে জিপিএস সহায়তাকারী একটি বিশেষ সেন্সরও রয়েছে।

ডিভাইসটির আরেকটি আকর্ষণ হলো এতে OTG সাপোর্টও রয়েছে। দেশীয় ব্র্যান্ডের সম্ভবত এটাই প্রথম স্মার্টফোন বা ফ্যাবলেট যেটিতে OTG সাপোর্ট থাকবে। অর্থাৎ এই ফ্যাবলেটটিতে চাইলে আপনি পেনড্রাইভ, কীবোর্ড, মাউস ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন। এর বাইরে এতে MHL (Mobile High-Definition Link) পোর্টও থাকছে যার সাহায্যে HDMI পোর্টে যুক্ত করে আপনি টিভি কিংবা মনিটরেও আপনার ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ব্যাকআপ

Walton Primo N1 এর মত Walton Primo NX এও দেয়া হয়েছে ৩০০০ mAh এর ব্যাটারি। তবে হ্যান্ডস-অন রিভিউ করার সুযোগ না থাকায় এতে ঠিক কতক্ষণ ব্যাকআপ পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে এখনি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা।

অন্যান্য

এসবকিছুর বাইরে ডিভাইসটিতে ডুয়াল সিম সাপোর্ট, থ্রিজি, জিপিএস, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও, মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট, ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়া OTG সাপোর্ট ও MHL পোর্ট তো আছেই।

শেষকথা

ডিভাইসটি কিনবেন কি কিনবেন না, কিংবা প্রি অর্ডার করবেন কিনা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে যে ব্যাপারটি সবার আগে জানা প্রয়োজন তা হচ্ছে ডিভাইসটির দাম। ওয়াল্টনের পক্ষ থেকে এর দাম সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও তারা আনুমানিকভাবে জানিয়েছেন এর দাম ১৮,০০০ টাকার কাছাকাছি হবে।
ওয়াল্টন আশা করছে ডিভাইসটি তারা জুলাই এর শেষেই দেশের বাজারে ছাড়তে পারবে। তবে এখন যারা প্রি-অর্ডার করবেন তাদের মাঝে স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে কিছু ভাগ্যবান বিজয়ীদের মোট দামের উপর ৬০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেবে ওয়াল্টন।

Monday, July 8, 2013

সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের দু দুটি ফোন আনছে Symphony

একের পর এক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এনে দেশের বাজারে এরই মাঝে বেশ ভাল একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড Walton। এবার তাদের সাথে পাল্লা দিতে Symphony ও ক্রমাগত নতুন সব ডিভাইস নিয়ে হাজির হচ্ছে। এরই মাঝে Walton এর ফ্যাবলেট Primo N1 এর বিপরীতে তারা বাজারে এনেছে Symphony W150।

তবে এতদিন সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে সম্বলিত Walton Primo X1 এর বিকল্প কোন ডিভাইস না থাকলেও সবার অপেক্ষার পালা হয়তো শেষ হতে যাচ্ছে। কারন এবার Symphony ও নিয়ে আসছে ফুল এইচডি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও গোরিলা গ্লাস সম্বলিত Symphony Xplorer ZI ও Xplorer ZII নামের দু দুটি ডিভাইস।

Symphony Xplorer ZI

Symphony Xplorer ZI ও Xplorer ZII ডিভাইস দুটিতে যথাক্রমে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ ও অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.১ জেলি বিন। এছাড়া দুটি ডিভাইসেই দেয়া হচ্ছে ১.২ গিগাহার্জের কর্টেক্স এ৭ কোয়াড কোর প্রসেসর, পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৪৪ জিপিইউ, ১ গিগাবাইট র‍্যাম ও ১৬ গিগাবাইট রম।

আর Xplorer ZII তে থাকছে গোরিলা গ্লাস সমৃদ্ধ ৪.৮ ইঞ্চি প্রসস্ত সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং Xplorer ZI – এ থাকছে ৪.৮ ইঞ্চি প্রসস্ত শুধু সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে। অর্থাৎ Xplorer ZII তে গোরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হলেও Xplorer ZI – এ সেটি ব্যবহার করা হয়নি। তাই Xplorer ZI এর দাম তুলনামূলক কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দুটি ডিভাইসের রেজুলেশনই হবে ১২৮০x৭২০।

Symphony Xplorer ZII

এছাড়া Xplorer ZI ও Xplorer ZII – তে দেয়া হবে যথাক্রমে ৮ ও ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা আর 720p ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সেকেন্ডারি ফ্রন্ট ক্যামেরা। তবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিনের Photo Sphere Camera ব্যবহার করার জন্য ডিভাইস দুটিতে জায়রোস্কোপ সেন্সর আছে কিনা সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আর ব্যাকআপ হিসেবে Xplorer ZI ও Xplorer ZII তে যথাক্রমে 2000mAh ও 2200mAh ব্যাটারি থাকছে। তাছাড়া থ্রিজি, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, জিপিএস, প্রক্সিমিটি সেন্সর, অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর, এফএম রেডিও, ফুল এইচডি ভিডিও ও গেম সাপোর্টসহ সাধারণ ফিচারগুলো তো থাকছেই আর সাথে থাকছে MUSE নামের একটি আলাদা ইউজার ইন্টারফেস।

তবে ডিভাইস দুটির দাম কেমন হতে পারে সে ব্যাপারে Symphony থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আপনার কী মনে হয় Symphony এই ডিভাইস দুটির মাধ্যমে দেশের অ্যান্ড্রয়েড বাজারে ভাল একটা অবস্থান তৈরি করে নিতে পারবে ? ডিভাইস দুটি সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও দাম সম্পর্কে আপনাদের ধারণা আমাদের অবশ্যই জানাবেন।

Tuesday, June 25, 2013

ফাঁস হল বহুল প্রতীক্ষিত মটোরোলা এক্স স্মার্টফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন

গুগল মটোরোলার সাথে কাজ করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই যে ফোনটি নিয়ে সবার অদম্য আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে সেটি হল ‘মটোরোলা এক্স’ ফোন। বিশেষ করে গত মে মাসে অনুষ্ঠিত ডি ১১ সম্মেলনে মটোরোলার সিইও ডেনিস উডসাইড এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই ফোনটি স্মার্টফোন প্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তবে এই ফোনটিতে ব্যবহারকারীদের জন্য ঠিক কী ধরনের সুবিধা থাকছে এ প্রসঙ্গে মটোরোলা বা গুগল কেউই এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

মটোরোলা এক্স ফোন

তবে প্রযুক্তি বিশ্বে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর ফাঁস হতেই থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মটোরোলা এক্স-ফোন সম্পর্কিত কিছু তথ্যও সম্প্রতি ইন্টারনেট জগতে ফাঁস হয়েছে। প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য প্রদান করে থাকে এরকম একটি সংস্থা ‘এভ লিকস’ সম্প্রতি তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক্স ফোন বিষয়ক তথ্যটি প্রদান করে। এভ লিকস এর দাবি অনুযায়ী ফোনটি হবে একটি মাঝারি ক্ষমতা সম্পন্ন ফোন। যদিও এর আগে মটোরোলার সিইও দাবি করেছেন এটি হতে যাচ্ছে একটি ‘ হিরো’ ডিভাইস।

ফাঁস হওয়া তথ্য অনুসারে এই স্মার্টফোনটিতে থাকছে ৭২০পি OLED ডিসপ্লে যদিও এর ডাইমেনশন কত হবে সেটি উল্লেখ করা হয় নি। ১.৭ গিগাহার্জ গতির ডুয়েলকোর ক্রেইট প্রসেসর, ২ জিবি র‍্যাম, কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এমএসএম ৮৯৬০ প্রো চিপসেট থাকতে পারে মটোরোলা এক্স ফোনে। ১৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ সুবিধা সম্পন্ন ডিভাইসটিতে এক্সপ্যান্ডেবল স্টোরেজ সুবিধা থাকছে কিনা সেটি এখনই জানা যায় নি।

ফোনটিতে ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে ১০ মেগাপিক্সেল রিয়ার এবং ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। মটোরোলা দাবি করেছে ডিভাইসটি ব্যবহারকারীরা অচিরেই দুর্দান্ত একটি ক্যামেরা ফোনের স্বাদ পেতে যাচ্ছেন। এর ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে অনায়াসেই ভিডিও কলিংসহ প্রয়োজনীয় কাজ সারা যাবে। এছাড়াও এতে ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি দেয়া হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।

সবশেষে এভ লিকস এর দাবি অনুযায়ী ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ সংস্করণ যা অ্যান্ড্রয়েডপ্রেমীদের কিছুটা হতাশ করেছে। বিশেষ করে যারা আশায় ছিলেন গুগল ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েড ৫ সংস্করণ কি লাইম পাই ব্যবহার করবে। এভ লিকস এর দেয়া তথ্য সঠিক হলে বলতে হয় আমরা খুব শীঘ্রই হয়ত ৪.৩ অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি না। তবে অনেকেই ধারণা করছে যদি অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে মটোরোলা এক্স ফোন বাজারে আসে, তাহলে এটি অ্যান্ড্রয়েডের মেজর আপডেট কি লাইম পাই-এর মাধ্যমেই অবমুক্ত হতে পারে, যেটি হবে এক্স ফোনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।

মটোরোলা এক্স ফোন সম্পর্কে আপনার মতামত ও প্রত্যাশা মন্তব্যের ঘরে জানাতে ভুলবেন না।

এইচটিসি ও স্যামসাং-এর পথ ধরে সনিও আনছে Xperia Z-এর গুগল এডিশন

স্যামসাং-এর বর্তমান ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যালাক্সি এস৪-এর গুগল এডিশন গত মাসে অবমুক্ত করেছে গুগল। এর আগে এইচটিসি-ও গুগল এডিশনের একটি ডিভাইস বাজারে এনেছে। সম্প্রতি খবর শোনা যাচ্ছে যে, এই দুই কোম্পানির পথ অনুসরণ করে সনিও এবার এক্সপেরিয়াড জেড-এর একটি গুগল এডিশন এ মাসের শেষেই ঘোষিত হবে।

এক্সপেরিয়া জেড

গুগল এডিশন বলতে মূলত একই হার্ডওয়্যারে স্টক অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল থাকাকে বোঝায়। অনেকটা নেক্সাস ডিভাইসের মতোই যেখানে প্রস্তুতকারক কোম্পানির কোনো কাস্টোমাইজেশন কিংবা নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশনে ঠাসা থাকে না ফোন। আমরা জানি, স্যামসাং তাদের সব ডিভাইসে “টাচউইজ” নামের ইন্টারফেস ব্যবহার করে। এইচটিসিও তাদের “সেন্স” ইউজার ইন্টারফেস তাদের প্রায় সব এইচটিসি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে দিয়ে থাকে। কিন্তু গুগল এডিশনে নিজস্ব এসব ইউআই বাদ দিয়ে গুগলের নেক্সাস ডিভাইসে যেমন থাকে, ঠিক তেমন অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার দেয়া থাকে।

অন্য কথায়, একেই বলা হয় স্টক অ্যান্ড্রয়েড।

সূত্র জানিয়েছে, এ মাসের শেষের দিকেই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে এক্সপেরিয়া জেড-এর গুগল এডিশন বিক্রি করা হবে। গুগল এডিশনের সুবিধার কথা ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে। বিশেষ করে ডেভেলপারদের জন্য তৈরি করা হলেও স্টক অ্যান্ড্রয়েড থাকার কারণে ডিভাইসের হার্ডওয়্যার ও বিভিন্ন সেন্সর একই রেখে ইন্টারনাল মেমোরি স্টোরেজ বেশি ফাঁকা পাওয়া সম্ভব হয় এবং ফোনও তুলনামূলক দ্রুত কাজ করতে পারে। মূলত এ কারণেই স্টক অ্যান্ড্রয়েডের প্রতি ব্যবহারকারীদের দুর্বলতা বেশি লক্ষ্য করা যায় যেটি নেক্সাস ফোন ও ট্যাবলেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

স্টক অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করেই এবার স্যামসাং ও এইচটিসিকে অনুসরণ করে সনি আনছে স্টক অ্যান্ড্রয়েড-চালিত এক্সপেরিয়া জেড। অনেকের মতে, নতুন এই ট্রেন্ড বা চল চালু হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা হাতে পাবেন একই মডেলের অথচ দ্রুততর ডিভাইস।

পাশাপাশি দামে বিক্রি হলে স্টক অ্যান্ড্রয়েড চালিত এসব ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসের গুগল এডিশন কিনবেন নাকি প্রস্তুতকারক কোম্পানির নিজস্ব ইউআই-এর ডিভাইসই কিনবেন? আপনার মতামত মন্তব্যের ঘরে জানিয়ে যেতে ভুলবেন না!

এইচটিসি ঘোষণা দিলো ৫” ফুল এইডি ডিসপ্লের বাটারফ্লাই এস

এইচটিসি তাদের ওয়ান ডিভাইস নিয়ে সেরা তিন অ্যান্ড্রয়েডের তালিকায় স্থান করে নিলেও প্রথম ১০৮০পি ফুল এইডি ডিসপ্লের স্মার্টফোন বের হয় কেবল জাপানের বাজারকে কেন্দ্র করে। এইচটিসি বাটারফ্লাই জে মডেলের ফোনটি বেশ সাড়া ফেললেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে না আসায় তা খুব একটা আলোচিত হয়নি। কিন্তু আজ এইচটিসি ঘোষণা দিয়েছে সেই বাটারফ্লাই সিরিজের নতুন ফোন এইচটিসি বাটারফ্লাই এস।

এইচটিসি বাটারফ্লাই এস

এইচটিসি ওয়ান-এরই মূলত আরেকটু উন্নত হার্ডওয়্যার সম্পন্ন সংস্করণ বলা যেতে পারে এইচটিসি বাটারফ্লাই এস স্মার্টফোনকে যেটায় ব্যবহৃত হবে ১.৯ গিগাহার্জ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬০০ কোয়াড-কোর প্রসেসর, ৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি করনিং গরিলা গ্লাস। ৪৪০ পিক্সেল পার ইঞ্চির এই ডিভাইসে থাকছে ২ গিগাবাইট র‌্যাম, ১৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ যা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে এবং এইচটিসির নতুন প্রযুক্তির আল্ট্রাপিক্সেল ক্যামেরা।


এইচটিসি বাটারফ্লাই এস-এর আরও দু’টি বিশেষত্ব রয়েছে। সেন্স ৫ ইউজার ইন্টারফেস সম্পন্ন এই ডিভাইসে দেয়া হয়েছে বিটস অডিও সম্পন্ন ডুয়াল ফ্রন্ট-ফেসিং বুমসাউন্ড স্পিকার এবং ৩২০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এছাড়াও এতে ব্লুটুথ ৪.০ এবং ওয়াই-ফাই এর নতুন প্রযুক্তি 802.11 a/b/g/n/ac এর সাপোর্ট রয়েছে। তবে অ্যান্ড্রয়েডের কোন সংস্করণ এটিতে চলবে তা এখনও জানা যায়নি।

এইচটিসি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নতুন এই ডিভাইসটিও বাটারফ্লাই জে-এর মতো এশিয়ার বাজারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আগামী জুলাইয়েই এটি বাজারে পাওয়া যাবে। তবে একাধিক সূত্র ধারণা করছে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও প্রবেশ করতে পারে এইচটিসির নতুন এই ফুল এইচডি স্মার্টফোন।

উইন্ডোজ ও অ্যান্ড্রয়েড দু’টোই চলবে স্যামসাং-এর এক ট্যাবলেটে

অ্যান্ড্রয়েড চালিত গ্যালাক্সি সিরিজের ব্যাপক সাফল্যের কথা নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে শুধু গ্যালাক্সি সিরিজই নয়, স্যামসাং এবার তাদের উইন্ডোজ চালিত অ্যাটিভ সিরিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর দিকেও নজর দিচ্ছে। আর এ জন্য তারা দূর্দান্ত এক মার্কেটিং স্টান্ট নিয়েছে। তাদের নতুন একটি ট্যাবলেটে একই সঙ্গে উইন্ডোজ ও অ্যান্ড্রযেড অপারেটিং সিস্টেম চালানোর সুবিধা দেয়া হয়েছে।


অ্যাটিভ সিরিজের ডিভাইসগুলোতে শুধু উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম থাকবে বলে ধারণা করা হলেও স্যামসাং ডুয়েল বুট সুবিধাটির ঘোষণা দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। কারন ATIV Q নামের নতুন ডিভাইসে তারা উইন্ডোজ ৮ এর পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ ও দিচ্ছে। অর্থাৎ এতে ডুয়াল বুট অপশন থাকছে যা উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েডপ্রেমীদেরও এই ডিভাইস কিনতে উৎসাহিত করবে।


স্যামসাং তাদের এই নতুন ডিভাইসটিকে ল্যাপটপ হিসেবে দাবি করলেও এটিকে মূলত কিবোর্ডসহ একটি ট্যাবই বলা যায়, যাকে অনেকে কনভার্টিবল বলে সম্বোধন করে থাকেন। কারণ ট্যাবলেটের মতোই এতে রয়েছে ১৩.৩ ইঞ্চি প্রশস্ত টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে যার রেজলুশন ৩২০০x১৮০০ পিক্সেল। তাছাড়া এতে স্যামসাং এর নিজস্ব এস পেন স্টাইলাসও থাকছে।


এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকতে পারে যে ডিভাইসটিতে উইন্ডোজ ও অ্যান্ড্রয়েড দুটি ওএস ই থাকলেও কেন একে গ্যালাক্সি সিরিজের না করে একে অ্যাটিভ করা হলো। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর এখনই পেয়ে যাবেন কারন ATIV Q নামের ্‌এই ডিভাইসটি মূলত উইন্ডোজ ৮ এর মাধ্যমেই চলবে। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলে যেকোন সময় উইন্ডোজ থেকে অ্যান্ড্রয়েড-এ সুইচ করতে পারবে। অর্থাৎ, মূল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইন্ডোজ ৮-ই থাকবে, কিন্তু ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমও ব্যবহার করতে পারবেন। এ কারনে অ্যাটিভ দিয়েই এর নামকরণ করা হয়।

 
ধারনা করা হচ্ছে Acer R7 ল্যাপটপটি দেখেই স্যামসাং তাদের এই ATIV Q বানাতে উৎসাহী হয়েছে। তবে Acer R7 এর তুলনায় আকারে ATIV Q একটু ছোট, ওজনের দিক দিয়েও হালকা। তাই এধরনের ল্যাপটপগুলো মাঝে ATIV Q -ই সবার প্রথম পছন্দ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Acer R7 এর মত এর কিবোর্ডটিও বেশ স্টাইলিশ। সাধারন ল্যাপটপের মত শুধু ভাঁজ করেই নয়, নিজের ব্যবহারের সুবিধা অনুযায়ী একে বিভিন্ন আকার ও আকৃতিতে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া স্যামসাং এর নিজস্ব ব্র্যান্ড মেটাল ডিজাইনের জন্য এটি যে কারও নজর কাড়তে সক্ষম।

 
সব দিক থেকে এটিকে স্যামসাং এর তৈরি একটি আদর্শ ডিভাইসই বলা চলে। এবার শুধু দেখার পালা আন্তর্জাতিক বাজারে এটি কেমন প্রভাব ফেলে।  উইন্ডোজ ৮ ভিত্তিক ট্যাবলেট ডিভাইস অনেকেই পছন্দ করেন, কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডের লোভও ছাড়তে পারেন না। দু’টি অপারেটিং সিস্টেম একই সঙ্গে পাওয়া গেলে অনেকের জন্যই এটি একটি “স্বপ্নীল ডিভাইস” হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ডিভাইসটির দামও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, যা প্রতিষ্ঠানটি এখনও ঘোষণা দেয়নি। এছাড়াও উইন্ডোজের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েডে ডুয়েল বুট করার সুবিধা রাখার বিষয়টিই প্রমাণ করে মাইক্রোসফটের নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমের উপর এখনও পুরোপুরি নির্ভর করতে পারছে না স্যামসাং।

আপনার কি ধারণা অ্যাটিভ সিরিজও গ্যালাক্সি সিরিজের মত জনপ্রিয়তা লাভ করবে ?

এবার ডেস্কটপ কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড আনছে এইচপি

অ্যান্ড্রয়েড প্রথমে মোবাইল ফোনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও থেমে থাকেনি সেখানে। ধীরে ধীরে ট্যাবলেটে, ল্যাপটপ কম্পিউটারে, স্যাটেলাইটে, ঘড়িতেসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থান করে নিয়েছে এই অপারেটিং সিস্টেম। অ্যান্ড্রয়েড চালানো সম্ভব এমন ল্যাপটপ ইতোমধ্যেই বাজারে থাকলেও ডেস্কের উপর থাকা বিশালাকৃতির কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে এবার বাজারে আনতে যাচ্ছে এইচপি স্লেট ২১।



এইচপির নতুন এই অল-ইন-ওয়ান ডেস্কটপ কম্পিউটারের আকৃতি ২১.৫ ইঞ্চি, যার পুরোটাই টাচস্ক্রিনের পর্দা। স্লেট ২১ নামের এই ডিভাইসের অস্বাভাবিক আকৃতির বড় একটি ট্যাবলেট বলা যায় যেটি কিক স্ট্যান্ডের মাধ্যমে ডেস্কটপের উপর সেট করা যায়। ১০৮০পি আইপিএস ডিসপ্লে সম্পন্ন এই অ্যান্ড্রয়েড ডেস্কটপে রয়েছে এনভিডিয়া টেগরা ৪ প্রসেসর ও অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ।

মাত্র ৩৯৯ ডলারের এই ডিভাইসে অবশ্য কোনো বিল্ট-ইন ব্যাটারি দেয়া হয়নি। অর্থাৎ, সাধারণ ডেস্কটপের মতোই এটি সবসময় পাওয়ার সোর্সের সঙ্গে সংযুক্ত রেখে কাজ করতে হবে। এটির পাশাপাশি এইচপি আরও কিছু উইন্ডোজ ৮ ব্যবহৃত অল-ইন-ওয়ান ডিভাইস বাজারে আনছে যেগুলোয় রয়েছে ব্যাটারি ও ইনটেলের নতুন হ্যাজওয়েল প্রসেসর। তবে অ্যান্ড্রয়েড চালিত বিশাল স্ক্রিনের এই ডেস্কটপ কেমন পারফর্ম করবে তা জানার জন্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বকে।

আর হ্যাঁ, এতে উইন্ডোজ চালানো যাবে কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে ডিভাইসটি বাজারে আসলে আমরা অবশ্যই এটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবো। সে পর্যন্ত জানান অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ডেস্কটপ কম্পিউটার কেনার কোনো কারণ আছে কি না!

Sunday, June 9, 2013

গ্রামীণফোন আনলো Symphony T7i এবং T8i ট্যাবলেট


সিম্ফনি জিপি


সিম্ফনি কিছুদিন আগেই তাদের ফেসবুক পেইজে ঘোষণা দিয়েছিল জনপ্রিয় ট্যাবলেট ডিভাইস টি৭ ও টি৮-এর পরবর্তী সংস্করণ Symphony T7i এবং T8i বাজারে আনার। সম্প্রতি গ্রামীণফোন তাদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়েছে সিম্ফনির নতুন এই ট্যাবলেট দু’টির।


এর আগে প্রথমবারের মতো যখন সিম্ফনি এই দু’টি ট্যাবলেট বাজারে আনে, তখনও গ্রামীণফোনের মাধ্যমেই ট্যাব দু’টি বিক্রি করা হয়। স্পেসিফিকেশনের তুলনায় দাম অনেক কম হওয়ার কারণে দ্রুত ট্যাবগুলোর স্টক ফুরিয়ে যায় এবং অনেক ক্রেতাই ট্যাব কিনতে গিয়ে ফেরৎ আসেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। প্রথমবারের মতো এবারও গ্রামীণফোনের মাধ্যমেই ট্যাবগুলো বাজারে আনার কারণে আবারও স্টক স্বল্পতা ও হয়রানির আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

সিম্ফনির নতুন এই ট্যাব দু’টোর স্পেসিফিকেশন অনেকটা পুরনো ট্যাবগুলোর মতোই। নিচে ট্যাবগুলোর আলাদা স্পেসিফিকেশন এবং মূল্য দেয়া হলোঃ

Symphony T8i

 

সিম্ফনি টি৮আই

  • ৮” আইপিএস ডিসপ্লে ও রেজুলেশন ৭৬৮*১০২৪ পিক্সেল
  • ১ গিগাহার্টজ ডুয়েল-কোর প্রসেসর
  • ১ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ
  • গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট PowerVR SGX 531 জিপিইউ
  • ৫ মেগাপিক্সেল ব্যাক ও ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
  • অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৪ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ
  • ৩জি ইন্টারনেট সুবিধা, কল করার সুবিধা
  • জিপিএস-সহ অন্যান্য সেন্সর
  • ৪৭০০ এমএএইচ ব্যাটারি
  • দামঃ ১৩,৯৯০ টাকা।

Symphony T7i

 

symphony t7i

  • ৭” টিএফটি ডিসপ্লে যার রেজুলেশন ৪৮০*৮০০ পিক্সেল
  • ১ গিগাহার্টজ ডুয়েল-কোর প্রসেসর
  • ৪ গিগাবাইট রম, ৫১২ মেগাবাইট র‍্যাম
  • ২ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা এবং ০.৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
  • অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৪ আইসিএস।
  • গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট PowerVR SGX 531 ।
  • ৩জি ও কল সুবিধা।
  • জিপিএস ও জি-সেন্সর।
  • ৩০০০ এমএএইচ ব্যাটারি।
  • দামঃ ১০,৯৯০ টাকা।
গ্রামীণফোন নতুন এই দু’টি ট্যাবলেটের সঙ্গেই বিনামূল্যে ৪ গিগাবাইট মেমোরি কার্ড এবং মাত্র ৯৯ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদের ১ গিগাবাইট ইন্টারনেট প্যাকেজ দিচ্ছে। গ্রামীণফোনের প্যাকেজ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাবেন গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটে
নতুন ট্যাবগুলোর স্পেসিফিকেশন পুরনোগুলোর তুলনায় খুব একটা আপডেটেড না হলেও দাম প্রায় কাছাকাছিই রাখা হয়েছে। তবুও দামের বিবেচনায় বলাই যায় যে, আসলেই দারুণ দু’টি ট্যাবলেট সিম্ফনি টি৮আই ও টি৭আই। বিশেষ করে টি৮আই ট্যাবলেটটি গত টি৮-এর মতোই যথেষ্ট দারুণ একটি ডিভাইস হতে পারে। তবে এবারও যেন গতবারের মতো ট্যাব কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের ফেরৎ আসতে না হয়, সেই প্রত্যাশাই করছেন অনেকে।

সিম্ফনির নতুন এই দু’টি ট্যাব নিয়ে আপনার কী মতামত?

Thursday, June 6, 2013

আসছে নতুন ট্যাবলেট Symphony T8i ও T7i

বর্তমানে চলছে ট্যাব এর জয়জয়াকার। ক্রেতারা যেমন আগ্রহী এর ব্যাপারে, তেমনি বিক্রেতা এবং নির্মাতারাও। কমদামে দেশী ব্র্যান্ডের প্রথম দু’টি ট্যাব সিম্ফনি টি৭ ও টি৮-এর তুমুল সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সিম্ফনি সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে এই দু’টি ট্যাবের নতুন দু’টি সংস্করণ বাজারে আনার। কোম্পানিটি তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, শিগগিরই Symphony T7i ও T8i মডেলের নতুন দু’টি ট্যাবলেট বাজারে আসছে।



ফেসবুক পেজে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সিম্ফনির আগামী ট্যাব টি৮আই-এ যে স্পেসিফিকেশন থাকছে তা নিম্নরূপঃ

- ১ গিগাহার্জ ডুয়ালকোর প্রসেসর। (সম্ভবত MTK6577)
- ৩জি, ২জি ও ওয়াইফাই।
- জিপিএস ও গ্রাভিটি সেন্সর।
- ১০২৪x৭৬৮ (এক্সজিএ) রেজুলেশনের ৮” ইঞ্চি ডিসপ্লে, TFT বা IPS কিনা জানানো হয়নি।
- ৫ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
- ৪৭০০ mAh ব্যাটারি।
- ১ গিগাবাইট র‌্যাম।
- সফটওয়্যারের দিক থেকে আগের মতই এবারও অ্যান্ড্রয়েডের আইসক্রিম স্যান্ডউইচ সংস্করণ থাকছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য জরুরি কিছু অ্যাপ্লিকেশন বিল্ট-ইন দেয়া থাকবে বলেও বলা হয়েছে।

যা যা টি৮ এর তুলনায় নতুন থাকছেঃ

- টি৮এর ২ মেগাপিক্সেলের তুলনায় এবার ৫ মেগাপিক্সেল, সামনেও ভিজিএর তুলনায় ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।

- টি৮আইএ ৪৭০০ mAh ব্যাটারি থাকছে, টি৮এ ৪২০০ mAh ব্যাবহার করা হয়েছিল। অর্থাৎ, নতুন ট্যাবে ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি পাওয়া যাবে।

টি৮আইএর অন্যান্য ফিচার টি৮এর মতই থাকছে, যদিও দুটি ট্যাব দেখতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ট্যাবটির পুরুত্ব জানানো হয়েছে ১১.৪ মিলি, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ২০৩.৮ মিলি ও ১৫৩.৫ মিলি, অর্থাৎ টি৮আই বেশ বড়সড় আকারের।

দাম সম্পর্কে কিছু জানানো না হলেও ফিচার প্রায় এক হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে এর দামও টি৮-এর মতোই হবে। কবে নাগাদ বাজারে আসবে সেটিও বলা হয়নি। একটু পুরনো অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ ব্যবহার করা হলেও শক্তিশালী ক্যামেরা ও বড় ধারণক্ষমতার ব্যাটারি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে অনেকটাই সফল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবার আপনার পালা। আপনি কি এই দাম ও স্পেসিফিকেশনে সন্তুষ্ট? পড়ে অবশ্যই জানাবেন টি৮আই সম্পর্কে আপনার মতামত।

সিম্ফনি ঘোষণা দিলো নতুন ফোন Symphony W71

তুলনামূলক কম দামে মোটামুটি সব সুবিধাসম্পন্ন ডিভাইস হিসেবে সিম্ফনি ডব্লিউ ৭০ বাজারে জনপ্রিয়তা হারানোর আগেই সিম্ফনি সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে নতুন আরেকটি সিকুয়েল সিম্ফনি এক্সপ্লোরার ডব্লিউ ৭১-এর। কোম্পানিটি তাদের ওয়েবসাইটের আপকামিং ফোন বিভাগে নতুন এই স্মার্টফোনটি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছে।


symphony w71



দাম এখনও উল্লেখ করা না হলেও Symphony W71-এ অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন, ৪.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে যার রেজুলেশন 854*480 পিক্সেল, ১.২ গিগাহার্জ করটেক্স এ৯ ডুয়েল কোর প্রসেসর ও পাওয়ারভিআর এসজিএক্স ৫৩১ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এতে ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম ও ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ দেয়া হয়েছে।
সিম্ফনি ডব্লিউ ৭০-এর সঙ্গে ডব্লিউ ৭১-এর মূল পার্থক্যগুলো এর ডিসপ্লে রেজুলেশন, ব্যাটারি এবং ডিসপ্লে সাইজে। সিম্ফনি ডব্লিউ ৭০-এর ডিসপ্লে রেজুলেশন 480*800 পিক্সেল, ডিসপ্লে সাইজ ৪ ইঞ্চি এবং ব্যাটারির ক্ষমতা ২৫০০ এমএএইচ, যেটি এই ফোনের অন্যতম প্রধান বিশেষত্ব বলে বিবেচিত ছিল। কিন্তু ডব্লিউ ৭১-এ ব্যাটারির ক্ষমতা কমিয়ে ১৭০০ এমএএইচ-এ করা হয়েছে যদিও ডিসপ্লে সাইজ বাড়িয়ে ৪.৫ ইঞ্চি ও ডিসপ্লে রেজুলেশন বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়াও আরেকটি সুবিধা হলো এটিতে শুরু থেকেই অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন দেয়া থাকছে। এতে অবশ্য সিম্ফনি ডব্লিউ ৭০ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ থেকে জেলি বিন-এ আপডেট পাবে কি না সে বিষয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
সিম্ফনি ডব্লিউ ৭১ ও ডব্লিউ ৭০-এর স্পেসিফিকেশনের বিচারে আপনার পছন্দ কোনটি? বর্তমানে ডব্লিউ ৭0-এর বিক্রয়মূল্য ৯,৮২৫ টাকা। কত দাম হলে সিম্ফনি ডব্লিউ ৭১-এর দাম যথার্থ হবে বলে মনে করেন?

জুনেই আসছে ইন্টেল প্রসেসরের গ্যালাক্সি ট্যাব ৩

স্যামসাং এবার তাদের গ্যালাক্সি ট্যাব সিরিজে  ৮” ও ১০.১” আকারের আরো দুটি নতুন ট্যাবলেট সংযোজন করলো। এদের মধ্যে ১০.১ ইঞ্চির ট্যাবটি ইন্টেলের তৈরি প্রসেসর চালিত বলে জানা গেছে।
গ্যালাক্সি ট্যাব ৩
৮ ইঞ্চির গ্যালাক্সি ট্যাব ৩ এ রয়েছে ১.৫ গিগাহার্জ এক্সিনস ডুয়াল কোর প্রসেসর, WXGA TFT ১২৮০x৮০০ রেজলুশনের ডিসপ্লে, ১.৫ গিগাবাইট র‍্যাম, ৫ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা এবং ১.৩ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, ৪৪৫০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৬ বা ৩২ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরি।


তবে স্যামসাং জানিয়েছে, ৮ ইঞ্চির গ্যালাক্সি ট্যাব ৩ তাদের নিজস্ব প্রসেসরের হলেও ১০.১ ইঞ্চি মডেলটিতে চলবে ইন্টেলের ১.৬ গিগাহার্জ ডুয়াল-কোর প্রসেসর। স্যামসাং আরও জানিয়েছে, “ট্রাস্টেড পার্টনারদের” কাছ থেকে চিপসেটসহ বিভিন্ন কম্পোনেন্ট ব্যবহার করে স্যামসাং এই ১০.১ ইঞ্চি মডেলটি তৈরি করেছে যাতে ব্যবহারকারীদের জন্য কন্সট্যান্ট হাই-কোয়ালিটি এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

ইন্টেল প্রসেসর-চালিত গ্যালাক্সি ট্যাব ৩ ১০.১ ইঞ্চি মডেলে রয়েছে ১৪৯ পিপিআই-এর 1280 x 800 রেজুলেশন ডিসপ্লে, ১ গিগাবাইট র‌্যাম, ১৬ ও ৩২ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ এবং ৬৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি। তবে এই মডেলের পেছনে ব্যবহৃত হয়েছে ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যদিও সামনে ৮ ইঞ্চি ট্যাবের মতোই ১.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দেয়া হয়েছে।

স্যামসাং তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানিয়েছে, দু’টি ডিভাইসেই ব্যবহৃত হবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ এবং স্যামসাং-এর টাচউইজ ইন্টারফেস এবং অ্যাপ্লিকেশনস। চলতি জুন মাসের মধ্যেই সারাবিশ্বের সব বাজারে এই দু’টি ট্যাব সহজলভ্য হবে বলে জানিয়েছে স্যামসাং।

এবারই যেহেতু প্রথম কোনো স্যামসাং অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটে ইন্টেলের প্রসেসরের দেখা মিলছে, সেহেতু বাজারে কেমন সাড়া পায় গ্যালাক্সি ট্যাব ৩-এর ১০.১ সংস্করণটি, তাই এখন দেখার বিষয়। আপনার কী ধারণা? কেমন যাবে ইন্টেল-চালিত গ্যালাক্সি ট্যাবলেটের বাজার?

Tuesday, May 28, 2013

Root Tutorial: রুট করুন আপনার Walton Primo N1/Primo X1



Root Tutorial: রুট করুন আপনার Walton Primo N1/Primo X1


অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা ট্যাবলেটের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এর রুট অ্যাক্সেসের সহজলভ্যতা। একেক ডিভাইসের ক্ষেত্রে একেক রকম হলেও মূলত প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসই রুট করা যায়। আর রুট অ্যাক্সেস পাওয়ার মাধ্যমে ডিভাইসের প্রস্তুতকারক যেসব বাধার সৃষ্টি করে রাখেন সেগুলো অতিক্রম করে ডিভাইসের আসল অভিজ্ঞতা পাওয়া সম্ভব হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিভাইস ওভারক্লক/আন্ডারক্লক করা, কাস্টম রম ব্যবহার করা, ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানো ইত্যাদি।
কিন্তু এসব করতে হলে আগে রুট অ্যাক্সেস পেতে হবে। ওয়াল্টন প্রিমো এন১ ও এক্স১ ব্যবহারকারীদের মধ্যে কেউ যদি তাদের ডিভাইস রুট করতে চান, তাহলে আজকের নতুন এই টুলটি কাজে লাগবেই।
তবে রুট করতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জেনে নেয়া উচিৎ। এগুলো হলোঃ

জেনে নেয়া প্রয়োজন

  • রুট কী ও কেন।
  • রুট করলে ফোনের ওয়ারেন্টি চলে যাবে।
  • এই টুলটি অ্যান্ড্রয়েড কথন বা সংশ্লিষ্ট কেউ তৈরি করেনি। তাই নিজ দায়িত্বে অনুসরণ করবেন।
  • প্রয়োজনেঃ ওয়াল্টন প্রিমো এন১ ও এক্স১-এর ড্রাইভার, ফার্মওয়্যার ও ফ্ল্যাশটুল। রুট করতে প্রয়োজনীয় নয় তবে রুটের পর অ্যাডভান্সড কাজ করতে গিয়ে ঝামেলা বাঁধালে মূল ফার্মওয়্যার ফ্ল্যাশ করতে কাজে লাগবে।
  • এটি কেবল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করবে। (উইন্ডোজ ৭/৮)

রুট করার পালা

ওয়াল্টন প্রিমো এন১ ও এক্স১ রুট করার পদ্ধতি একই। তাই আপনার ডিভাইস যেটিই হোক না কেন, প্রথমে নিচের ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।

রুট করার পালা

ওয়াল্টন প্রিমো এন১ ও এক্স১ রুট করার পদ্ধতি একই। তাই আপনার ডিভাইস যেটিই হোক না কেন, প্রথমে নিচের ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।

কীভাবে রুট করবেন

ফাইলটি ডাউনলোড করলে এতে দু’টি ফোল্ডার পাবেন। এর একটি ফোল্ডারে দেয়া আছে ইউএসবি ড্রাইভারস এবং অন্যটিতে রয়েছে মূল অ্যাপ্লিকেশন। রুট করার আগে প্রথমবার ইউএসবি ড্রাইভার ইন্সটল করতে হলে usb_drivers ফোল্ডারে থাকা  android_winusb ফাইলটিতে রাইট ক্লিক করুন এবং ইন্সটল-এ ক্লিক করুন।


এবার ফোন থেকে সেটিংস -> ডেভেলপার অপশনস -> ইউএসবি ডিবাগিং চেকবক্সটিতে চেক দিন। এবার আপনি মূল অ্যাপ্লিকেশনটি রান করতে পারেন।

অ্যাপ্লিকেশনের ইন্টারফেসটি দেখতে নিচের মতো। সাধারণ সফটওয়্যার ইন্সটলের মতোই এতে নেক্সট বাটন চেপে পরবর্তী ধাপসমূহে যেতে পারবেন।

walton primo root

প্রথম স্ক্রিনেই রুট সংক্রান্ত যাবতীয় সতর্কতা দেয়া রয়েছে। রুট করার চেষ্টা করার আগে অবশ্যই সেগুলো পড়ে নিবেন।

walton primo root

পরবর্তী পদক্ষেপে আপনার কম্পিউটারে ইউএসবি ড্রাইভার ইন্সটল করা আছে কি না তা নিশ্চিত করতে বলা হবে।

walton primo root

এরপরের স্ক্রিনে পাবেন ইউএসবি ডিবাগিং চালু করার বার্তা। যেহেতু আমরা ইতোমধ্যেই সেটাও করেছি, কাজেই নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন।

walton primo root

এবার ফোনটি ইউএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে পিসিতে কানেক্ট করুন এবং ভেরিফাই ডিভাইস কানেক্টিভিটি বাটনে ক্লিক করুন। ডিভাইস স্ট্যাটাস অনলাইন দেখালে নেক্সট বাটন চাপুন।

walton primo root

এবার রুট বাটনে ক্লিক করার পালা।

walton primo x1 root

রুট বাটনে ক্লিক করলে আপনার ফোনে রুটিং প্রসেস শুরু হবে এবং শেষ হলে একটি কনফার্মেশন বার্তা পাবেন।


walton primo n1 root


walton primo x1 root

সবশেষে ফোন রুট হয়েছে কি না তা ভেরিফাই করতে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

root walton primo

এ পর্যায়ে আপনার ফোনটি রুট অ্যাক্সেস পেয়েছে।

 আপনার ওয়াল্টন প্রিমো এন১/এক্স১ রুট করার কথা ভাবছেন কি? কেন/কেন না, মন্তব্যের ঘরে আমাদের জানান।

Sunday, May 19, 2013

এবার স্ক্রিন শট নিন আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের রুট ছাড়াই । ১০০% পরীক্ষিত ।

(যাদের হট কি দিয়ে স্ক্রিন শট নেওয়া যায়না , পোস্ট টি শুধু তাদের জন্য )




স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য আপনাকে যা করা লাগবে। 

১ প্রথমে এখান থেকে এই এপ্স টি ডাউনলোড করে আপনার ফোনে ইন্সটল করুন (Download .apk) । (কোন রুটের প্রয়োজন নেই )

২ তারপর প্রয়োজন হবে একটি কম্পিটার এর এজন্য কম্পিটার আপনার না থাকলেও হবে কারণ প্রয়োজন হবে মাত্র একবার  তাই আপনি কাজটা সাইবারক্যাফ বা বন্ধুর কম্পিটার থেকে সেরে নিতে পারেন ।

৩ এবার এই এপ্স টি ডাউনলোড করে পিছি তে ইন্সটল করুন (Download .exe )।

৪ এবার USB ক্যাবল দিয়ে পিছির সাথে ফোন টি কানেক্ট করুন ।

৫ এবার আপনার ফোন USB debugging এনাবেল করুন (Setting>Applications>Development>USB debugging এ টিক চিহ্ন দিন )

৬ এবার পিছিতে কানেক্ট থাকা অবস্থায় আপনার ফোন রিস্টার্ট দিন ,এবং পিছি থেকে screenshot It ওপেন করুন কিছুক্ষন অপেক্ষা করে এনাবেল অপশন পাবেন নিচের ছবির মত এনাবেল করে দিন ।



এবার ফোন পিছি থেকে ডিসকানেক্ট করে দিন।

এবং ফোনে ইন্সটলকৃত No Root screenshot এপ্স টি ওপেন করে ইচ্ছে মত স্ক্রিন শট নিন । এবং তা শেয়ার করুন ব্লুটুথ,মেইল ,ফেসবুক,ল্যান এবং অন্যান্য সকল থার্ড পার্টি এপ্স দিয়ে ।

আমি প্রিমো তে পরিক্ষা করেছি , এই টিউন টি আপনার ফোনে কাজ করলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।










ওয়াল্টন রিলিজ দিলো Primo X1 ও N1-এর Firmware, Flashtool এবং Driver  ওয়াল্টন রিলিজ দিলো Primo X1 ও N1-এর Firmware, Flashtool এবং Driver

walton primo

দেশী ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বাজার মাত করে রাখা কোম্পানি ওয়াল্টন সম্প্রতি রিলিজ করেছে তাদের সাম্প্রতিক দু’টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন প্রিমো এক্স১ ও প্রিমো এন১-এর ফার্মওয়্যার, ফ্ল্যাশটুল এবং ড্রাইভার। কোম্পানিটি তাদের নিজস্ব ফোরামে এই দু’টি ফোনের ড্রাইভার ইন্সটল ও ফ্ল্যাশটুল ব্যবহার করে নতুন ফার্মওয়্যার ফ্ল্যাশ করার টিউটোরিয়াল প্রকাশ করেছে।


ফার্মওয়্যার ও ফ্ল্যাশটুল রিলিজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ডিভাইস নিয়ে অ্যাডভান্সড কাজ করতে গিয়ে কোনো কারণে ব্রিক হয়ে গেলে বা সফটওয়্যার ক্ষতিগ্রস্থ হলে ফার্মওয়্যার ফ্ল্যাশ করার মাধ্যমে নিমিষেই ডিভাইস একেবারে নতুনের পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। বিশেষ করে ডেভেলপারদের ফার্মওয়্যার কাজে আসলেও সাধারণ ব্যবহারকারীও যদি কোনো কারণে ডিভাইস ব্রিক করে ফেলেন, সেক্ষেত্রে ফার্মওয়্যার হয়ে থাকে শেষ ভরসা।

অন্য কথায়, ফার্মওয়্যার থাকলে ডিভাইস সফট ব্রিক হলে তা ঠিক করা যাবেই এই নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।
ওয়াল্টন এর আগে অ্যান্ড্রয়েড কথন-কে জানায়, দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে তারা তাদের ডিভাইসগুলো নিয়ে ডেভেলপার ও আগ্রহী ব্যবহারকারীদের যে কোনো ধরনের এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ দিতে আগ্রহী। এ কারণেই তারা তাদের প্রিমো সিরিজের প্রায় প্রতিটি ফোনের ড্রাইভার, ফ্ল্যাশটুল ও ফার্মওয়্যার মুক্তি দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাজারে আসা প্রিমো এক্স১ এবং প্রিমো এন১-এর এসব ফাইল মুক্তি দিয়েছে ওয়াল্টন।

ওয়াল্টন প্রিমো সিরিজের এই দুইটি ফোনের ফার্মওয়্যার, ফ্ল্যাশটুল ও ড্রাইভার ডাউনলোড করতে নিচের লিংকগুলো অনুসরণ করুনঃ

                                         ওয়াল্টন প্রিমো এক্স১  ওয়াল্টন প্রিমো এন১ 

ফার্মওয়্যার ও ফ্ল্যাশটুল রিলিজ করা সম্পর্কে আপনার মতামত মন্তব্যের ঘরে জানাতে ভুলবেন না।

মাইক্রোম্যাক্স আনলো নতুন ফ্যাবলেট, Canvas Doodle



ক্যানভাস ডুডল

বর্তমান স্মার্টফোন জগতে মাইক্রোম্যাক্স একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড বলা চলে। ভারতীয় ব্র্যান্ড হলেও এটি এরই মধ্যে নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে মুল ধারার ব্রান্ডগুলোর সাথে বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। ক্যানভাস সিরিজের স্মার্টফোনগুলো দিয়েই মূলত এদের জনপ্রিয়তার শুরু। ক্যানভাস ২ এদের অন্যতম ব্যবসাসফল ডিভাইস এবং এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে এরা বাজারে নিয়ে আসে আরও আকর্ষণীয় ফিচার সমৃদ্ধ ক্যানভাস এইচডি। ক্যানভাস এইচডি এর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অনেকটা চুপিসারে মাইক্রোম্যাক্স নিয়ে এলো ক্যানভাস সিরিজের নতুন আকর্ষণ ‘ক্যানভাস ডুডল’।


অফিসিয়াল কোন ঘোষণা যদিও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, সম্প্রতি মাইক্রোম্যাক্সের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং অনলাইন স্টোরে নতুন এ ফ্যাবলেটটির দেখা মিলেছে। অনলাইন স্টোর অনুযায়ী এর দাম ১২,৯৯৯ ইন্ডিয়ান রুপি। ডিভাইসটির মূল আকর্ষণ হলো এর সাথে থাকা সুদৃশ্য স্টাইলাস স্কেচ পেন যেটি দিয়ে ডিভাইসে থাকা এভারনোট অ্যাপ ব্যবহার করে স্কেচ এঁকে নেয়া যাবে নিমেষেই। শুধু তাই নয়, এর দারুণ ডিজাইন এবং ৫.৩ ইঞ্চির বিশাল পর্দা এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

canvas doodle

অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ জেলি বিন-চালিত ফ্যাবলেটটির শক্তি যোগাতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়াড কোর প্রসেসর ও ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম। অন্যান্য সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে ডুয়াল সিম সাপোর্ট, ৩জি কানেক্টিভিটি, ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা এবং ০.৩ মেগা পিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা। নিচে এক নজরে Micromax Canvas Doodle কনফিগারেশন দেয়া হল-
  • অ্যান্ড্রয়েড ৪.১.২ জেলি বিন
  • ডুয়াল সিম (২জি+৩জি), ২জি (জিএসএম ৯০০,১৮০০ মেগাহার্জ), ৩জি (ডব্লিউসিডিএমএ ২১০০ মেগাহার্জ)
  • ৫.৩ ইঞ্চি ক্যাপাসিটিটিভ মাল্টি টাচ স্ক্রিন
  • ১.২ গিগাহার্জ কোয়াড কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এস ৪ MSM8225Q সিপিইউ
  • ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম
  • ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ, ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড সাপোর্ট
  • ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা, অটো ফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশ, ০.৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
  • ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ইউএসবি, এইচডিএমআই, এফএম রেডিও, ৩.৫ এমএম অডিও জ্যাক, জিপিএস
  • সেন্সরস- গ্র্যাভিটি, লাইট, প্রক্সিমিটি
  • ২১০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৬.৫ ঘণ্টা পর্যন্ত টক টাইম এবং ২২০ ঘণ্টা স্ট্যান্ডবাই টাইম
canvas doodle

লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, মাইক্রোম্যাক্স প্রথমবারের মতো এ ডিভাইসে মিডিয়াটেক চিপসেটের পরিবর্তে কোয়ালকম চিপসেট ব্যবহার করেছে। শুধু তাই নয়, এতে বিল্ট ইন এইচডিএমআই সুবিধাও রাখা হয়েছে যেটি ব্যবহারকারীদের খুব সহজে তাদের ডিভাইস কে এইচডিএমআই সুবিধা সম্পন্ন ডিভাইসের সাথে কানেক্ট করতে সাহায্য করবে এবং ব্যবহারকারীরা আরও বড় পর্দায় গেমিং কিংবা ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন।

তবে ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম এরকম কনফিগারেশনের ডিভাইসের তুলনায় সত্যিই কম। ১ গিগাবাইট র্যা ম ডিভাইসটিকে আরও অনেক আকর্ষণীয় করতে পারত। স্টাইলাস সুবিধা, ৫.৩ ইঞ্চির আকর্ষণীয় বিশাল পর্দা থাকা সত্ত্বেও বাজারে বিদ্যমান অন্যান্য সমমানের কোয়াড কোর ফোনগুলোর সাথে শুধু মাত্র র্যারম কম থাকার কারণে ডুডল কে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে।

যেহেতু এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল কোন ঘোষণা মাইক্রোম্যাক্স দেয় নি সেহেতু ধারনা করা যায় অচিরেই অফিসিয়াল ঘোষণা নিয়ে মাইক্রোম্যাক্স আমাদের সামনে হাজির হবে। তবে বাংলাদেশের বাজারে ডিভাইসটি আসতে বেশ সময় লাগবে বলে আমাদের ধারনা।
৫.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে প্যানেল সাথে আকর্ষণীয় স্টাইলাস স্কেচ পেন, এইচডিএম আই ফিচার সমৃদ্ধ ফ্যাব্লেট ফোনটি নিয়ে আপনাদের মতামত কি? মন্তব্যের ঘরে লিখে পাঠান। আরও নতুন নতুন খবর জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

Sunday, May 12, 2013

এন্ড্র্যয়েড এর অসাধারণ মিউজিক প্লেয়ার MAVEN Music Player (3D,Lyrics) With Download Link

MAVEN  মিউজিক  প্লেয়ার সঙ্গে একটি মিউজিক ট্রিপ নিন  এবং তার চমতকার নিয়ন্ত্রণ বৈশিষ্ট্য এবং অপরাজেয় অডিও মান যা আপনাকে করবে বিমোহিত।এটার মূল বৈশিষ্ট্য হল এটার 3D sound effect যা অনেক শক্তিশালী এবং  চমত্কার। এর সাথে আপনি পাচ্ছেন real time synchronized lyrics।



MAVEN Music Player (3D,Lyrics) v1.3.27
Requirements: Android 2.2+



অডিও ফরমেট সমর্থন:  MP3, OGG, WAV, MP4, m4a, FLAC (WMA সমর্থন করে না )
(প্রধান বৈশিষ্ট্য)
  • 1. MAVEN ইফেক্ট  (3D সাউন্ড)
  • 2. ইকুয়ালাইজার এর রেসপন্স কার্ভ
  • 3. ভলিউম কন্ট্রোল (মিডিয়া ভলিউম, প্রাক ভলিউম)
  • 4. Alsong প্লাগিন এর মাধ্যমে গান সার্চ (ALsong বা ID3 ট্যাগ দ্বারা শর্ত থাকে) সহ ট্যাগে গান প্রদর্শন
  • 5. উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ
  • 6. Artits, অ্যালবাম, গান, প্লেলিস্ট, ঘরানার এবং ফোল্ডার দ্বারা সঙ্গীত খেলুন
  • 7. গান খোঁজা
  • 8. গান Rescan
  • 9. প্লেলিস্ট ব্যবস্থাপনা
  • 10. মাল্টি প্লে তালিকাতে নির্বাচন মুছে ফেলুন
  • 11. পুনঃনামকরণ
  • 12. একই পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি করুন এবং Suffle
  • 13. কনফিগার উইজেট  3  ধরনের (ফাইলের আকার: 4 × 1, 4 × 2, 4 × 4)
  • 14. ব্লুটুথ কন্ট্রোল
  • 15. লক Screeen
  • 17. টাইমার
  • 18. রিংটোন
  • 19. এসডি কার্ড মুভিং
  • 20. খেলুন, ভলিউম, প্রভাব সাহায্য

Language Translations

  • 1. English
  • 2. Korean
  • 3. Chinese
  • 4. Japanese

ডাউনলোড লিঙ্ক:

১। Zippyshare Link 

২। 4Shared Link 

Friday, May 10, 2013

রুট টিউটোরিয়ালঃ Root Symphony W125





rootingandroid

 অ্যান্ড্রয়েডের সূচনা থেকেই একটি শব্দ একেবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িত; আর সেটি হচ্ছে রুট। আগে ততো দেখা না গেলেও আজকাল ওয়ারেন্টির তোয়াক্কা না করেই অনেকে প্রথমেই রুট করে ফেলেন।


রুট করার সুবিধা ও এর মাধ্যমে কী কী করা যায় তা নিশ্চয়ই এতোদিনে জেনে গেছেন, আর না জানলেও উপরের লিঙ্কটি পড়ার পর নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু সিম্ফনি ডব্লিউ ১২৫  সেটটি কি আসলেই রুট করা প্রয়োজন? চলুন দেখে নেয়া যাক আগে কেন আপনি ওয়ারেন্টির তোয়াক্কা না করে এই ডিভাইস রুট করতে চাইবেন।
  • TWRP/CWM রিকভারি ফ্ল্যাশ Mobile Uncle MTK Tools ইন্সটল।
  • Titanium Backup ব্যবহার; ইউটিউবসহ বিভিন্ন ব্লকড সাইট দেখতে DroidVPN ব্যবহার।
  • অপ্রয়োজনীয় সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন মুছে ফেলা ইত্যাদি।

অনেকেই লিংক২এসডি’র মাধ্যমে ইন্টারনাল মেমোরি বাড়ানোর কথা ভাববেন। কিন্তু যেহেতু সেটটিতে ডাটা পার্টিশন ১ গিগাবাইট দেয়াই আছে, সেহেতু Link2SD এর প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে।

রুট করার প্রক্রিয়া

যা যা লাগবেঃ

ফাইলটি আনজিপ করে নিন, এই রকম হবে।


এবার ফোনটিতে ইউএসবি ডিবাগিং অন করুন। মেনু থেকে সেটিংসে যান, স্ক্রল ডাউন করে Develover Options এ গিয়ে USB Debugging টিক দিন। এবার একটি ডায়ালগ বক্স আসবে সেটাতে ইয়েস দিয়ে বেরিয়ে আসুন।
এরপর ফোনটি পিসির সাথে কানেক্ট করুন। এরপরের অনেকগুলো ধাপ লিনাক্স ব্যবহারকারীরা বাদ দিয়ে যেতে পারেন। সোজা রুটিং-এ চলে যান।

ড্রাইভার ইন্সটল

- My Computer খুলুন।

- System Properties ক্লিক করুন।


- Device Manager ক্লিক করুন



- এখানে Fly IQ446 আছে কারণ আমার Symphony W125-এ ওটার ফার্মওয়্যার ফ্ল্যাশ করা। আপনার ক্ষেত্রে ওখানে Symphony W125 আসবে। ওখানে রাইট ক্লিক করুন ও Update Device Software দিন।



- Browse My Computer For Driver Software ক্লিক করুন



- Let me pick from a list of device drivers on my computer ক্লিক করুন।



- show all devices ক্লিক করে next দিন।



- এবার Have Disk ক্লিক করুন



- Browse ক্লিক করুন



- এবার যে ফোল্ডারে ডাউনলোড করা ফাইলগুলো রেখেছেন সেখানে ঢুকুন Locate File উইন্ডো থেকে, ওখানে গিয়ে usb_driver ফোল্ডারে ঢুকে android_winusb ফাইলটি ক্লিক করে ওপেন ক্লিক করুন।



- OK ক্লিক করুন।



Android ADB Interface ক্লিক করে next ক্লিক করুন।



- ২টা উইন্ডো আসতে পারে, একটায় OK দিবেন আর আরেকটা যদি আসে Install this driver anyway দিবেন।
- নিচের স্ক্রিনটি আসলে আপনার ড্রাইভার ইন্সটলের কাজ শেষ।


Root Symphony W125

- ডাউনলোড করা ফাইলগুলোতে যান।


- run ফাইলটি চালান (লিনাক্স ব্যবহারকারিরা Terminal থেকে ওই ফোল্ডারের আগের ফোল্ডারে গিয়ে chmod 777 -R w125 root করে এবার w125 root ফোল্ডারের থেকে sudo sh run.sh দিয়ে চালাবেন); লিনাক্স কমান্ডের সঙ্গে পরিচিত না থাকলে এই কাজগুলো উইন্ডোজেই করার পরামর্শ থাকলো।
- ফোনটি লাগানো না থাকলে লাগিয়ে নিন, Debugging অবশ্যই অন থাকতে হবে। এই উইন্ডোতে এন্টার চাপুন।



- অপেক্ষা করুন এটি আসা পর্যন্ত। আমার ডিভাইস রুট করা ছিল তাই Failed দেখাচ্ছে, আপনার ক্ষেত্রে successful দেখাবে।




- এন্টার দিন। আপনার ফোন রিবুট করবে। আপনার রুট করা হয়ে গিয়েছে!
- ফোনের মেনুতে দেখুন SuperSU একটা অ্যাপ্লিকেশন এসেছে। তার মানেই আপনার ডিভাইস রুটেড!
এবার যে কোনও রুট অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন, যেমন Mobile Uncle MTK Tools দিয়ে TWRP ফ্ল্যাশ!



TWRP রিকভারি ফ্ল্যাশের পদ্ধতি

এই অংশটি এক্সপেরিমেন্টাল। সব ডব্লিউ ১২৫ ইউনিটে কাজ নাও করতে পারে। এই রিকভারি অনেকাংশেই ক্লকওয়ার্কমড রিকভারির চেয়ে অ্যাডভান্সড, সহজ এবং অধিক সুবিধা-সম্পন্ন। আমাদের ইউনিটে কাজ করলেও অনেকে জানিয়েছেন তাদের ইউনিটে কাজ করেনি। তাই নিজ দায়িত্বে অনুসরণের অনুরোধ রইলো।
TWRP ফ্ল্যাশ করতে হলে এই ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন/মিরর লিঙ্ক। এরপর আনজিপ করে recovery.img ফাইলটি আপনার sdcard এ রাখুন (যাদের এক্সটারনাল এসডিকার্ড নেই তারা ফোন স্টোরেজে রাখতে পারেন)।


প্লে স্টোর থেকে Mobileuncle MTK Tools ইন্সটল করে নিন ফোনে। ইন্সটল শেষে সেটি ওপেন করুন।



অ্যাপ্লিকেশনটি রান করে recovery update টাচ করুন। তারপর recovery.img টাচ করুন।




Ok দিন, দিয়ে আবার OK দিন, দেখবেন ফোন TWRP মোডে চলে এসেছে।
এখন আপনার ফোনে কাস্টম রিকভারিও ইন্সটল করা হয়ে গেল। ক্লকওয়ার্ক মড (CWM) রিকভারির তুলনায় এই রিকভারিতে কাজ করার সুবিধা বেশি কেননা এটি টাচ সাপোর্ট করে। এছাড়াও আরও বাড়তি কিছু সুবিধাও রয়েছে TWRP রিকভারিতে। রিকভারি ইন্সটল শেষ, রুটও শেষ, এবার বিভিন্ন রম ফ্ল্যাশ করে ফোনটিকে সাজিয়ে নিনে নিজের ইচ্ছে মতো।

 **বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করুন/কল করুন 01731512652 এই নাম্বারে।**

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best Web Host