Saturday, December 22, 2012

দুই স্ক্রিন বিশিষ্ট অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ফ্লিপ ফোন আনলো স্যামসাং

ফ্লিপ ফোনের কথা মনে আছে তো? বাংলাদেশে যেটি ‘ফোল্ডিং ফোন’ বলেই বেশি পরিচিত? মনে না থাকলেও সমস্যা নেই। উপরের ছবিটি দেখে নিশ্চয়ই মনে পড়ে গেছে। এক সময় ফ্লিপ ফোনের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী থাকলেও স্মার্টফোনের দাপটে তা আজ প্রায় হারিয়েই গেছে। কিন্তু স্যামসাং এই প্রথম অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ফ্লিপ ফোন অবমুক্ত করলো চাইনিজ বাজারে। বলা যেতে পারে, মান্ধাতার আমলের চেহারার এটিই প্রথম অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ফ্লিপ ফোন।




ফোনটি দেখে যতই হাসি আসুক না কেন, এর হার্ডওয়্যার কিন্তু নিতান্ত তুচ্ছ নয়। বরং আপনার হাতের অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও এটি বেশি শক্তিশালী হতে পারে। কেননা, এই SCH-W2013 ফ্লিপ ফোনে স্যামসাং পুরেছে তাদের নতুন সব হার্ডওয়্যার।


১.৪ গিগাহার্জ কোয়াড-কোর প্রসেসরের পাশাপাশি এই পুরনো-দর্শন ফোনটিতে রয়েছে ২ গিগাবাইট র‌্যাম। বিল্ট-ইন মেমোরি ১৬ গিগাবাইট হলেও আলাদা মেমোরি কার্ডের স্লট দেয়ায় তা আরও বাড়ানো যাবে। আর এই ফোনে রয়েছে ৩.৭ ইঞ্চি আকারের দু’টো স্ক্রিন। তারচেয়ে চমকানো তথ্য হলো, এই দু’টো স্ক্রিনই ব্যবহার করছে স্যামসাং-এর সুপার এমোলেড প্রযুক্তি যা গ্যালাক্সি এস ২ ও এস ৩-তে ব্যবহৃত হয়েছে।

অবশ্য রেজুলেশনের দিক দিয়ে স্ক্রিনগুলো কিছুটা কম। ৩.৭ ইঞ্চি আকারের স্ক্রিনগুলোয় দেয়া হয়েছে 800 x 480 পিক্সেল রেজুলেশন। স্যামসাং-এর নতুন এই ফ্লিপ ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ। এতে রয়েছ জিএসএম ও সিডিএমএ দু’টো স্ট্যান্ডবাই রাখার জন্য দু’টো আলাদা সিম কার্ড স্লট।

 এবার আসুন জেনে নেয়া যাক আসল তথ্য। পুরনো জিনিসের দাম সাধারণত বেশি থাকে। এই ফোনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। মূলত লাক্সারি ডিভাইস হিসেবেই চীনের বাজারে আসা এই ফোনের দাম পড়বে মার্কিন ডলারে প্রায় ৩০০০ ডলার। অর্থাৎ, বাংলাদেশি টাকায় এর দাম পড়বে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার আশেপাশে।

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best Web Host